× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

শেরপুরে ৩ নদীর পানি বিপদসীমার উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

জয়ন্ত দে, শেরপুর প্রতিনিধি

০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:২৯ পিএম

ছবি: প্রতিনিধি

গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের সব নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এর মধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদী এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

এদিকে মহারশি নদীর বেশ কিছু জায়গায় বাঁধ ভেঙে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজার, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বিদ্যুৎ অফিসসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 

এছাড়া নালিতাবাড়ীর বাঘবের ইউনিয়নের সন্ন্যাসীরভিটা এলাকায় চেল্লাখালি নদীর বাঁধ ভেঙে এবং ভোগাই নদীর গড়কান্দা এলাকায় বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বেশ কিছু এলাকার মানুষজন। ভেসে গেছে বেশ কিছু মাছের ঘের।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, ২ জুলাই সোমবার দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীর পানি বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং চেল্লাখালি নদীর পানি বিপদসীমার ২৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর পানি বেড়ে বাঁধ ভেঙে ও পাড় উপচে উপজেলা সদরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে সেখানে গেজমিটার না থাকায় পানির উচ্চতা মাপা যাচ্ছে না। একইসাথে বেড়েছে ঝিনাইগাতী উপজেলার সোমেশ্বরী এবং সদর উপজেলার মৃগী ও পুরাতন ব্রক্ষপুত্র নদের পানি।

স্থানীয়রা জানান, চলমান পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও শেরপুর সদর উপজেলায় স্বল্পমেয়াদী বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এতে আমনের বীজতলা ও সবজি ক্ষেতের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোতে ঝিনাইগাতী উপজেলার বেশ কিছু মাছের ঘের ভেসে গেছে। বৃষ্টি ও ঢল অব্যাহত থাকলে অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘন্টায় শেরপুরে প্রায় ২৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে বেশকিছু টিনের ঘর ভেঙে গেছে। নিচু অঞ্চলের ঘর-বাড়ি ও উপজেলা সদর বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা।

ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার দায়িত্বে থাকা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার জানান, ঝিনাইগাতী উপজেলার প্রায় ২০০ হেক্টর জমির আমন বীজতলা ও আউশ ধান তলিয়ে গেছে। পানি দ্রুত নেমে গেলে তেমন ক্ষতি হবে না। তবে পানি দীর্ঘস্থায়ী হলে ফসলের ক্ষতি হবে। ঢলের পানিতে বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান জানান, আমি বাঁধের ভাঙা স্থান পরিদর্শন করেছি। ইতোমধ্যে নদীর ভাঙা স্থানগুলোতে জিও ব্যাগ ফেলে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের শুরু হয়েছে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম রাসেল জানান, পাহাড়ি ঢলের পানি খুব দ্রুতই নেমে যায়। ইতোমধ্যে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদর বাজারের পানি নেমে গেছে। আশা করছি তেমন ক্ষয়ক্ষতি হবে না। এরপরও যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। সেইসাথে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। একই কথা জানান নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । সম্পাদক: 01703-137775 । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.