দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবসহ সামাজিক রীতি, বিয়ে-শাদিতে মিষ্টি পানের খ্যাতির পাশাপাশি দেশেই প্রচুর চাহিদা রয়েছে। কক্সবাজার জেলার মহেশখালী মিষ্টি পানের জন্য বিখ্যাত। সেই মিষ্টি পানের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, 'আমি কক্সবাজার আসবো মহেশখালীর পান খেতে।'
মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে কক্সবাজারের ঈদগাঁও পূর্ব দরগাহ পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হলে প্রধানমন্ত্রীকে কক্সবাজার বেড়াতে আসার আমন্ত্রণ জানান কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার তিনি আসবেন মহেশখালীর পান খেতে। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দইজ্জ্যার চরে আসবো পান খেতে। এর আগে ২০২২ সালে ৭ ডিসেম্বর শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় মহেশখালীর পান খেতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। উক্ত অনুষ্ঠানে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ সংসদ সদস্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমুদ্র জনপদের মহেশখালী-কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে প্রধানমন্ত্রী মহেশখালীর মিষ্টি পানের প্রশংসা করে বক্তব্য দিয়েছেন, এতেই প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী মহেশখালীর প্রতি কতোটা আন্তরিক। মহেশখালীর মানুষ ধন্য প্রধানমন্ত্রীর এই উচ্চারণে।
উল্লেখ্য, আকারে ছোট হলেও স্বাদে অনন্য হওয়ায় সারা দেশেই কদর রয়েছে দেশের এক মাত্র বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মিষ্টি পানের কদর। এ পান ট্রাক বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। দেশের বাইরেও রপ্তানি হয় পান।