বিশ্বের প্রথম চালকবিহীন হেলিকপ্টার আবিস্কারক বীর মুক্তিযোদ্ধা বিজ্ঞানী ড. হুমায়ুন কবিরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে৷ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ২৮ মে রাতে উপজেলা রোডে অবস্থিত ইউনিটির কার্যালয়ে এই সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।
কটিয়াদী রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ফ.হ আলমগীর জোয়ারদার এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রফিকুল হায়দার টিটুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন কটিয়াদীর কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. হুমায়ুন কবির। বিশেষ অতিথি ছিলেন তার সহধর্মিণী ফরিদা কবির। শুরতেই অতিথিদের ফুল দিয়ে সংবর্ধিত করেন ইউনিটির সদস্যরা৷
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হুমায়ুন কবির বলেন, নিজের এলাকায় এসে ভালো লাগছে। মানুষের মেধাকে সঠিক পথে কাজে লাগালে সে অবশ্যই সফল হবে। একটি মানুষ কোটি-কোটি মানুষের উপকারে আসতে পারে, যদি তার মেধাকে ভালো পথে কাজে লাগায়৷ সুশিক্ষিত হয়ে দেশের, দশের, সারা পৃথিবীর উপকারে লাগতে পারে। কষ্টকে জয় করেই আমি আজ এই অবস্থানে৷
তিনি আরো বলেন, বিমান তৈরি অনেক ব্যায় বহুল। উন্নত দেশ ছাড়া এটি অনেক দুরূহ ও কঠিন কাজ। আমার তৈরি কয়েকটি বিমান আমেরিকার সরকার বিক্রি করছে৷ বাংলাদেশ কয়েকটি বিমান এনেছে। সরাসরি না হলেও বিভিন্ন ভাবে এর সুফল পাচ্ছে বিশ্বের সব মানুষ।
বিজ্ঞানী ড. হুমায়ুন কবির আরো বলেন, দেশের জন্য কাজ করার ইচ্ছে মনে সবসময়ই৷ আমাদের দেশে এমন ব্যাবস্থা থাকলে তো অবশ্যই সম্ভব হতো। স্বপ্ন দেখি আগামী প্রজন্ম হয়তো একদিন ভালো কিছু করতে পারবে। আমি আমার পরামর্শ শিক্ষার্থীদের সাথে শেয়ার করবো। তাদের অনুপ্রাণিত করবো। আমার নিজের এলাকায় কিছু করা যায় কিনা তাও বিবেচনায় রাখবো৷'
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, কটিয়াদী সরকারি পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বদিউল আলম মাহফুজ। কনিষ্ঠ বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ মোস্তফা, কটিয়াদী ইতিহাস গ্রন্থের লেখক ও কটিয়াদী সমাচার সম্পাদক সারোয়ার হোসেন শাহীন, ডেল্টা ইন্সুইরেন্স কোম্পানী ( বিমা) কটিয়াদী এড়িয়া ম্যানেজার আব্দুল মান্নান স্বপন, সাংবাদিক ছাইদুর রহমান নাঈম৷ দৈনিক নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি ফখর উদ্দিন ইমরান, সাংবাদিক দ্রব রঞ্জন দাস, মাসুম পাঠান, মিজানুর রহমান, মাসুম বিল্লাহ তাহের প্রমুখ৷ এসময় সংগঠনের সকল সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।