মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ৫শ টাকা দরে ভোট কিনতে গিয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আওলাদ হোসেন মৃধার এক কর্মীকে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয়রা।
মঙ্গলবার রাত অনুমান সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের চালতাতলা নামক এলাকায় টাকা দিয়ে ভোট কেনার সময় তাকে আটক করা হয়।
পরে আটক ওই যুবককে রাজিব নামে আনারসের অপর কর্মী পশ্চিম ইছাপুরা গ্রামের খালেক দেওয়ানের ছেলে উজ্জ্বলের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হলে আটক ওই যুবককে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে ঘটনার ১ ঘন্টা পর রাত অনুমান সাড়ে ৯টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আওলাদ হোসেন মৃধা তার কর্মী আটক ওই যুবককে ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে ছাড়িয়ে আনতে গেলে স্থানীয় আমজনতার তোপের মুখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থল থেকে কোয়াটার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইছাপুরা চৌরাস্তা এলাকায় এমপি পুত্রের লোকজন নিয়ে অবস্থান করতে লক্ষ করা যায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কাপপিরিচ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব আবু বকর সিদ্দিকের কর্মী শাহীনুর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, যাকে আটক করা হয়েছে তার বাড়ী কড়ারবাগ গ্রামে। সে আনারসের কর্মী। তার সাথে রাজিব নামে আরো একজন ছিলো । তার হাতে সে সময় আনারসের পোষ্টার ছিলো। ওনারা মূলত এখানে টাকা বিলি করতেই আসছিলো। ঢালী বাড়ী এসে ৫শ টাকার বান্ডিল বের করে ৩ জন মহিলাকে ৫'শ টাকা করে দিয়েছে। তারা যে টাকা দিয়েছে সেটা স্থানীয়দের অনেকেই দেখেছে। পরে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যপারে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আওলাদ হোসেন মৃধার মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
সিরাজদিখান থানার ওসি মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম সুমন বলেন, এমন একটা ঘটনা শুনেছি টাকা নিয়ে আনারস প্রতীকের সমর্থক আটক হয়েছে সাধারণ জনগণের হাতে। আমাদের টিম সেখানে গিয়েছে, এখনো থানায় এসে পৌঁছায়নি। সবকিছু শোনার পরে যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।