বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন প্রণীত নির্বাচনী প্রচারণা আচরণ বিধিমালার ৫ ধারার ১ উপধারায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ভোটে লড়াইয়ের “প্রতীক (মার্কা) বরাদ্দের আগে সম্ভাব্য প্রার্থী উল্লেখ করে দোয়া ও সহযোগিতা চাওয়ার নামে ফ্যাস্টুন ব্যানার পোস্টার অথবা লিফলেটে ভোট প্রার্থনার আগাম প্রচারণা নিষিদ্ধ।” কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইচ্ছুক কোন প্রার্থীই নির্বাচন কমিশনের এই বিধিমালা যুক্ত নির্দেশনা মানছে না।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেশ কয়েক মাস যাবৎ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বত্র সম্ভাব্য উপজেলা চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত (মহিলা) ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে আগ্রহী প্রার্থীদের ছবিযুক্ত রঙিন ফ্যাস্টুন, ব্যানার, পোস্টার ও সাদাকালো লিফলেটে প্রচারণা চলছে। যা নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লংঘন হওয়ায় সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিষয়টি সরাসরি জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ প্রার্থীদেরকে নিজ উদ্যোগে রঙিন ফ্যাস্টুন ব্যানার পোস্টার অপসারণ করার নির্দেশনা দিয়ে ১৫ মে পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন।
তথাপিও কেহই তা বাস্তবায়ন করেননি। যার ফলে, সবার প্রতি সমান দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোনাব্বর হোসেন বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার পর পৌর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাঁটানো ঝুলানো ফ্যাস্টুন ব্যানার পোস্টার অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেন। যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। বিকেল সাড়ে ৪টা হতে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালত নির্বাচনী আচরণ বিধির ৫ ধারার ১ উপধারা অমান্য করার অপরাধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ হেলাল উদ্দিন, শাহাদাৎ হোসেন শোভন ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এড. লোকমান হোসেনকে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৩০ হাজার হিসেবে ৯০ হাজার টাকা এবং সংরক্ষিত (মহিলা) ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী নাছিমা আক্তার শিশির ও সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ইলিয়াছ চৌধুরীকে জন প্রতি ৫ হাজার হিসেবে ১০ হাজার টাকা তথা মোট নগদ ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড করেন। প্রার্থী নিজে অথবা তাদের সমর্থকরা স্বশরীরে উপস্থিত থেকে অর্থদন্ড পরিশোধ করেন। অপসারণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান চলবে বলে জানান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোনাব্বর হোসেন। এ দিনের মতো ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে সন্ধ্যার পর অপসারণকৃত ফ্যাস্টুন ব্যানার পোস্টারগুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ট্রাকযোগে ধ্বংস করার জন্য সরিয়ে নেয়া হয়।