ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভাধীন জগতপুর গ্রামের একটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে উক্ত পরিবারটি এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ভুক্তভোগীরা দাগনভূঞা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ এ বিষয়ে প্রধান অভিযুক্তকে আটক করেছে।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, দাগনভূঞা পৌরসভাধীন ৪ নং ওয়ার্ডের জগতপুর গ্রামের আফজল আলী ভূঞা বাড়ির বয়োবৃদ্ধ রুহুল আমিন (৭৩) এর পরিবারের চলাচলের পথে বাঁশ দিয়ে ঘেরাও করে রেখেছে কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোক। এ বিষয়ে শেখ ফরিদ,ইব্রাহিম, বিবি আমেনা ও বিবি রহিমাকে বিবাদী করে দাগনভূঞা থানায় শনিবার অভিযোগ দায়ের করেন রুহুল আমিন।
রুহুল আমিন জানান, আমাদের পরিবারের শতবর্ষের অধিক সময়ের চলাচল পথ এটি। আমার নামে উক্ত জমির দলিল পত্র রয়েছে। কিন্তু বহিরাগত কিছু লোকজন আমার প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় উক্ত জমির মালিকানা দাবী করে সম্পুর্ন হয়রানির উদ্দেশ্যে আমাদের কে চলাচলে বাঁধা দেয়ার জন্য পথ ঘেরাও করে রেখেছে। আমি বিষয়টি স্থানীয় মান্যগন্য সকলকে অবগত করেছি। কিন্তু বহিরাগত লোক গুলো কিছুই মানেনা। আমি রাস্তা দিয়ে চলাচল করিতে গেলে বিবাদীগণ সব সময় আমাকে ও আমার পরিবারে অন্যান্য লোকজনের সাথে মারমুখী আচরণ সহ আমাকে প্রানে হত্যার হুমকি প্রদান করে। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করিয়া গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট বিচার প্রার্থী হইলে এলাকার লোকজন বিবাদীদেরকে ঢাকিয়া ঘটনার বিষয়ে মিমাংসা করিয়া দিলেও বিবাদীরা এলাকায় কাহারো মিমাংসা তোয়াক্কা না করিয়া পুনরায় আমার সহিত বিরোধ করিতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ০৩ মে দুপুরে বিবাদীগণ আমার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করিয়া দেওয়াকালে আমি প্রতিবাদ করি। এতে বিবাদীগণ আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া দা, লাঠি সোটা নিয়ে আমাকে মারধর করার জন্য উদ্যত হয়। বিবাদীগণ জায়গা সম্পত্তি ও চলাচলের রাস্তার বিরোধকে কেন্দ্র করিয়া যেকোন মুহুর্তে খুন সহ আমাদের বড় ধরণের ক্ষতি সাধণ করিতে পারে বলে তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসিম জানান, আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত শেখ ফরিদ কে পুলিশ আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছে।