বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান পদক পেলেন বাংলাদেশের শিল্প আন্দোলনের পথিকৃত চিত্রশিল্পী নাসিম আহমেদ নাদভী।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টায় নড়াইলের সুলতান মে শিল্পী সুলতানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ দিনব্যাপী সুলতান মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিল্পীকে সম্মাননা ও সুলতান স্বর্ণ পদক প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্য, শিল্প সংস্কৃতির জেলা নড়াইল, শিল্প সংস্কৃতিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান। নড়াইলের এই সুলতান মহলকে সংস্কার করে আগামী বছর আমরা একে নতুন রূপে দেখবো। এর ঐতিহ্য রেখে আমরা সংস্কার করবো।
জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল-২ আসনের এমপি জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহা. মেহেদী হাসান, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক খান শাহাবুদ্দিন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উপ-পরিচালক মো. রেজাউল হাসেম। জেলা প্রশাসন ও এস,এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ১৫ এপ্রিল থেকে সুলতান মেলা শুরু হয়।
প্রতি বছরের মতো এবারও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সস্টিটিউটের যৌথ সিদ্ধান্তে গুণী এই চিত্রশিল্পীকে ‘সুলতান পদক’ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নাসিম আহমেদ নাদভী ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চারুকলা বিভাগের কার্যক্রম শুরুর ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা রাখেন। এ ছাড়া তিনি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। দেশ-বিদেশে তাঁর একাধিক একক ও যৌথ চিত্র প্রদর্শনী হয়েছে এবং একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি শিল্পচর্চার পাশাপাশি বাংলাদেশের শিল্প আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
মেলাকে কেন্দ্র করে লোক ঐতিহ্য শিশুদের বিনোদনের জন্য বিভিন্ন ধরনের দোলনা, খেলনা ট্রেন-নৌকা, কারু শিল্প, মৃৎশিল্প, দারুশিল্প, কাপড়, চুড়ি-ফিতা, বিভিন্ন প্রকার পিঠা-পুলিসহ দেশীয় খাবারের পসরা সাজিয়ে তিন শতাধিক স্টল মেলা প্রঙ্গণে বসে।
এবার স্থানীয় ৫০টি সাংস্কৃতিক সংগঠন নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি, সঙ্গীতানুষ্ঠান, নাটক, যাত্রা, জারি ও কবিগানের পাশাপাশি কুষ্টিয়ার লালন একাডেমী, প্রখ্যাত ব্যান্ড দল জলের গানসহ ঢাকা ও খুলনার শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। প্রতিদিন হাজার হাজার শিশু, নারী-পুরুষ মেলা উপভোগ করতে আসেন। নানা কারণে মেলা পিছিয়ে চলতি মাসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।