চুয়াডাঙ্গায় টানা কয়েক দিন ধরে ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। উত্তপ্ত হয়ে উঠছে এখানকার জনপদ। বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। এরই মাঝে আজ মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জের প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সর্বোচ্চ এই তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে। একই সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৩ শতাংশ। মৌসুমে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজও সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ডটি চুয়াডাঙ্গার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে এপ্রিল মাসে এ পর্যন্ত ১২ দিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছে।
জেলা শহর ও আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে জনগণের চরম অস্বস্তি ভাব চোখে পড়েছে। তীব্র দাবদাহ ও ভাপসা গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এতে কর্মজীবী মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। মানুষের পাশাপাশি এই দাবদাহে ভালো নেই প্রাণিকুলও। তীব্র দাবদাহ থেকে রেহাই পেতে পথেঘাটে, ফুটপাতের নোংরা পানিতে বা নালা-নর্দমায় সময় কাটাতে দেখা গেছে ভাসমান অনেক প্রাণীকে।
পরিবেশবাদী সংগঠন পানকৌড়ির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি স্কুল শিক্ষক বখতিয়ার হামিদ জানান, খাদ্যসংকটের পাশাপাশি তীব্র দাবদাহে প্রাণিকুলের অবস্থাও নাজুক। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়ায় বিভিন্ন নালা-নর্দমায় গা ভিজিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় বেওয়ারিশ কুকুরসহ বিভিন্ন প্রাণীকে। প্রচণ্ড গরমে এই অসহায় প্রাণীদের পাশে কেউ নেই বললেই চলে।