কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে উপজেলা জুড়ে প্রচন্ড দাবদাহ চলছে। তীব্র গরমে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে৷ বাজারে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে। সাথে তীব্র লোডশেডিং যুক্ত হওয়াতে কষ্টের পাল্লা দিগুণ হয়েছে মানুষের জন্য। আবহাওয়া ঠান্ডা হবার জন্য নামাজ আদা করে দোয়া করেছে মানুষ।
এমনি অবস্থায় শরিল ঠান্ডা রাখে এমন খাবারে ঝুঁকছে মানুষ৷ বিশেষ করে দুধ দিয়ে তৈরি মাঠা ও আখের রসের কদর এখন বেশি৷ এছাড়াও লেবু পানি ও তরমুজ খাচ্ছেন মানুষজন। বাজারের মোড়ে মোড়ে বিক্রি বেড়েছে আখের রস ও লেবুর শরবত৷
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কটিয়াদী বাজার ও গচিহটা, কারগাও বাজারে বেড়েছে মাঠা বিক্রির চাহিদা৷ কটিয়াদী বাজারে ভোষণ মিষ্টির দোকান ও হীরণ ঘোষের হোটেলে তৈরি হয় মাঠা৷ এছাড়াও কারগাও বীরু হোটেলেও মাঠা বিক্রি হয়ে থাকে৷ এছাড়াও সরারচর বাজারে তিনটি মাঠার দোকান রয়েছে৷ এগুলোতেও বিক্রি বেড়েছে।
ভোষণ মিষ্টির হোটেলে মাঠা কিনতে গিয়ে শফিকুল ইসলাম (৪৬) নামে এক ব্যক্তি বলেন, ঘোল অথবা মাঠা পান করেন। এতে তাঁর তৃষ্ণা মেটে। শরীরের ক্লান্তিও দূর হয়। বাজারে নানারকম পানীয় পাওয়া যায়। কিন্তু বেশিরভাগই ভেজাল। সেগুলো পান করলে শরীরের ক্ষতি। আমি ঘোলের ওপরেই নিশ্চিন্তে ভরসা রাখতে পারি। ঘোষেরা এতে ভেজাল কোন কেমিক্যাল মেশান না।
আরেক ক্রেতা আব্দুল কুদ্দুস (৫০) জানালেন, মাঠা খাওয়ার অভ্যাস পুরনো। ঘোলও ভাল লাগে। সারাদিন রোজা রাখার পর একটু মাঠা খেলে ভাল লাগে। ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এটা পেটের জন্যও ভাল।
ভোষণ হোটেলের কয়েকজন কর্মচারী জানান, সারাবছর আমাদের এখানে মাঠা তৈরি হয়। নিয়মিত কাষ্টমার আছে৷ তবে, গরমে নতুন কাষ্টমারো বেড়েছে।
হীরণ ঘোষের হোটেলের মালিক হীরণ ঘোষ বলেন, সারাবছর মাঠা বিক্রি হয়৷ এখন গরমে মানুষ বেশি নিচ্ছে৷ এটি শরিল ঠান্ডা রাখে ক্লান্তি দূর করে।