কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নৌপুলিশের অভিযানের পরেও চলছে নদী থেকে অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলন। এতে ঝুঁকিতে পড়ছে চাঁনপুর টু কালিপুর সেতুটি। তাছাড়া যেকোন সময় ভাঁঙ্গনের মুখে পড়তে পারে কৃষকের কয়েক হাজার একর ফসলি জমি।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের সেতু সংলগ্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, তিনটি বাংলা ড্রেজারের মাধ্যমে কোঁদালকাটি নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী মহল।
এসময় কথা হয় ড্রেজারের কর্মরত শ্রমিক রুবেল মিয়ার সাথে তিনি বলেন, আজকেই প্রথম নদী থেকে বালু উত্তোলন করতে এসেছি। ঘন্টাখানেক ধরে নদীতে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু তুলেছি। এই ড্রেজারের মূল মালিক মহসিন মিয়া তাছাড়া বালুর ব্যবসা করেন চাঁনপুর গ্রামের আজিজ মিয়া ও মানিক মিয়া তারা আমাদের নিয়ে এসে বলেন সবকিছু ম্যানেজ করেই এসেছি তোমরা কাজ কর কোন সমস্যা হবে না। আমাদের কি দোষ আমরা শ্রমিক মানুষ কাজ করলে বেতন পাবো না করলে বেতন পাবো না।
সেতুর পিলারের নিকটে লাগানো ড্রেজারের শ্রমিক রামশংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব মিয়া বলেন, এই ড্রেজারের মেইন মালিক
কালিপুর গ্রামের রাশেদ মিয়া। উনি আমাদের বলেছেন তোমরা নদী থেকে বালু উত্তোলন কর কোন সমস্যা হবে নেই যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে আমি এসব বিষয় দেখবো। গতকাল সকাল থেকে আমরা ড্র্রেজারের মাধ্যমে বালু তুলেছি।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হক বলেন, নদী খননের নাম করে নিষিদ্ধ ড্রেজারের মাধ্যমে নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আমাদের এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল বালু ব্যবসা করছেন। ড্রেজারে বালু তোলার কারণে যেকোন মুহুর্তে সেতুর পিলার ডেবে যেতে পারে তাছাড়া আমাদের এলাকার কৃষকদের কয়েক হাজার একর জমি হুমকির মুখে পড়েছে।
ড্রেজারের মালিক ও বালু ব্যবসায়ী শিমুলকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আজিজ মিয়া জানান, খাল খননের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছু জায়গা কাজ বাকি ছিল। তাই কিছু জায়গায় বেকু দিয়ে ও কিছু জায়গায় ড্রেজার দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। গতকাল থেকে নদীতে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করছেন। বালু উত্তোলনের শুরুর আগে কয়েকজনের সাথে কথা বলেই কাজ শুরু করেছেন বলে তিনি জানান।
ভৈরব উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান আহমেদ রাফি জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। কে বা কারা নদী থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করছে আমার জানা নেয়। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান ।