× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: ১৮ মাসের নির্মাণ শেষ হয়নি ৫ বছরেও

সোহানুর রহমান, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি

২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫৫ পিএম

কথা ছিল ১৮ মাসে কাজ শেষ হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে সাড়ে ৫ বছর কেটে গেলেও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যার ৩ তলা ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। বর্তমানে ১০ শয্যার হাসপাতালের সেবার মান নিয়েও রয়েছে রোগীদের অসন্তোষ। ফলে উপজেলার লক্ষাধিক লাখ মানুষের ভরসাস্থল সরকারি এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিনই বাড়ছে জন-ভোগান্তি।

১০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে ভবনের কাজ শেষ করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের কথা ছিল মেঘ কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। কিন্তু ১৮ মাসের কাজ সাড়ে ০৫ বছর পেরিয়ে গেলেও হস্তান্তর করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এখনো অনেক কাজই বাকি রয়েছে। 

এদিকে জরাজীর্ণ টিনসেট কক্ষে ১০ শয্যা বিশিষ্ঠ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসা নিতে আসা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের পাশাপাশি বাঘাইছড়ি ও লংগদু এ দুই উপজেলার মানুষের প্রধান ভরসা এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

লাখের বেশি মানুষের স্বাস্থ্যগত ছোট বড় সব সমস্যায় প্রথমে এখানেই আসতে হয়। কিন্তু ১০ শয্যার জনবল দিয়ে এত মানুষের সেবা দেয়া এ সেবা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও চতুর্থ শ্রেণির স্টাফের সংকট রয়েছে। 

রোগ নির্ণয়ে উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে যে সকল পরীক্ষা থাকার কথা সেগুলোও করা যাচ্ছে ১০ শয্যার এ হাসপাতালে। ফলে প্রতিদিনই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় চিকিৎসা নিতে আসা বহির্বিভাগ ও আবাসিক রোগী এবং তাদের স্বজনকে। ৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে ধীর গতি আর এ নিয়ে চিকিৎসা ভোগান্তিতে রোগী ও স্বজনদের ক্ষোভের শেষ নেই।

জরাজীর্ণ কক্ষে ভর্তি রোগী মোহাম্মদ মোস্তফা (২৪) ও সুনিল ত্রিপুরা (২৫) নামে রোগীরা বলেন, ‘জ্বর-কাশি ছাড়া কোনো চিকিৎসাই এখানে হয় না। ফলে চিকিৎসা নিতে আমদের জেলা শহরে যেতে হয়, যেখানে যাতায়াতে ভোগান্তি আর প্রচুর অর্থ খরচ হয়।’

আল- আমিন (৩৫) নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘সাড়ে ৫ বছর ধরে দেখছি নির্মাণ কাজ চলছে। এমন ধীরগতির কাজ জীবনেও দেখিনি। হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হলে উপজেলাবাসীর চিকিৎসা সেবায় আর ভোগান্তি থাকবে না। কিন্তু সেই স্বপ্ন কবে বাস্তবায়িত হবে এটাই এখন প্রশ্ন।’

অলসতা কিংবা দায়িত্বহীনতার বিষয়ে দ্বায় স্বীকার করে নির্মান কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেঘ কনস্ট্রাকশনের তত্বাবধায়ক মেহেদী হাসান জানান, ‘নির্মানসামগ্রীর দাম বৃদ্ধি ও করোনা কালীন সময়ে কাজ বন্ধ থাকায় কাজে ধীরগতি হয়েছে। আমরা এবছরের জুন মাসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন, চিকিৎসক, কর্মকর্তা– কর্মচারীদের আবাসন বুঝিয়ে দেওয়া হবে।’

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ- সহকারী প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন জানান, কয়েক ধাপে মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ শেষ হয়নি। চলতি ৩১ মে পর্যন্ত কাজের মেয়াদ রয়েছে। তবে হাসপাতালে কাজ ধীরগতিতে করছে। এভাবে চলতে থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ বুঝিয়ে দিতে ব্যর্থ হবে। আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কয়েকদফা চিঠিও দিয়েছি। তারা কোন কিছুতে কর্ণপাত করছে না। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তনয় তালুকদার জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠাকে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বলছি। তারা জানিয়েছে চলতি বছরের জুন মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। 

রোগীদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘৫০ শয্যার হাসপাতাল ও জনবল নিয়োগ হলেই সব সমস্যার সমাধান দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হবে।’

Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.