বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তপথে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যদের খোঁজ-খবর নিতে পরিদর্শনে এসেছেন বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন ও বিজিবি কার্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি।
এদিকে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রিত জান্তা বাহিনীর সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন বিজিবির মহাপরিচালক। পরে তিনি ১১ বিজিবির অধিন চাকঢালা বিওপি (বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট) পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা জান্তা বাহিনীর পালিয়ে আসার স্পট গুলোর খোঁজ খবর নেন। সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
পরিদর্শনে কক্সবাজার রিজিয়ন কমন্ডার,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমসহ বিজিবি রামুর সেক্টর ও তার অধিনস্থ বিজিবি ব্যাটালিয়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি'র জোন কমন্ডার ও অধিনায়ক লে: কর্ণেল সাহল আহমদ এসিসহ বিজিবির উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তপথে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির আরও ৪৬ জন সদস্য আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। এনিয়ে বর্তমানে দেশটির সেনা ও বিজিপির ২৬০ জন সদস্য বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এর মধ্যে সর্বশেষ গত ৩ দিনে মিয়ানমারের ৮০ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।