‘প্রাণ’ গ্রুপের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রংপুর জোনের সকল পিবিএল গ্রুপের এস আরগণ। রংপুর জোনের অতিরিক্ত ড্যামেজ প্রোডাক্ট কোম্পানিকে ফেরত দেয়ার কারণে এড়িয়া ম্যানেজার (টি.এস.এম) লাচ্চি গ্রুপের কামরুজ্জামান, বেভারেজ গ্রুপের মিনহাজুল ইসলাম, ড্রিংকস গ্রুপের শফিকুল ইসলাম, পাওয়ার গ্রুপের হাসান আলীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বরে অন্যায়ভাবে চারজনকে বরখাস্ত করার প্রতিবাদে ও তাদের চাকুরি ফিরিয়ে দেবার দাবিতে রংপুর জোনের সকল পিবিএল গ্রুপের এস আরগণ সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশ সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত ড্যামেজ প্রোডাক্ট কোম্পানীকে ফেরত দেয়ার কারণে চারজনের চাকুরি গেছে। ইহা কোম্পানীর নিয়ম, নিয়ম যদি অন্যায় হয় তাহলে এর দায় শুধু তাদের চারজনের নয় এস আরদেরও তাহলে সকলকে চাকুরিচ্যুাত করা হোক।
রংপুর জোনের ডিলারগণও বলেছেন তাদের চাকুরি ফেরত না দিলে আমরাও এ ব্যবসা ছেড়ে দেব। টিএসএম ও এস আরদের কাজ হচ্ছে প্রোডাক্ট সেলস করা, সেলস বৃদ্ধি করা ও দোকানে পণ্য উত্তোলন করা।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রোডাক্ট ড্যামেজ হওয়ার কারণে আমরা ড্যামেজ প্রোডাক্ট তুলে কোম্পানীকে ফেরত দিয়েছি, তাই অন্যায়ভাবে আমাদের এরিয়া ম্যানেজার চারজনের চাকুরি চলে গেছে যা মেনে নেয়ার মত নয়। আজ এর বিরুদ্ধে না গেলে পরবর্তীতে এরুপ চলতেই থাকবে তাই আমরা বাধ্য হয়ে পথে নেমেছি। আমাদের দাবি সমূহ হলো- চারজনের চাকরি ফেরত দেয়া হোক, তারা অন্য জোনে নয় এই জোনেই কাজ করবে, তারা ঢাকায় যাবেনা, আগামী ৫ বছর তাদের ট্রান্সফার বা ক্লোজ করা যাবেনা, ড্যামেজ প্রোডাক্ট’র টাকা জমা দিতে হবে, ডিলারের এখানে যত ড্যামেজ প্রোডাক্ট রয়েছে তা ফেরত নিতে হবে, ড্যামেজের কারণে যা প্লান্টি করেছে। সকল টাকা ফেরত দিতে হবে। এই দাবিসহ ১২ দফা দাবি উত্থাপন করেন।
এ সময় তারা আরো বলেন, আমরা চাকুরি বাঁচাতে আসি নাই, আমরা দাবি আদায়ের জন্য এসেছি। আমরা রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করি, আর আপনারা এসিরুমে বসে আমাদের ক্লোজ করেন। ক্লোজ করতে হলে সবাইকে ক্লোজ করেন। হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা বলেন, আমাদের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত কোম্পানির সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
প্রতিবাদ সভায় রংপুর জোনের পিবিএল ৫ গ্রুপের প্রায় ৮০জন এসআর উপস্থিত ছিলেন।