নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমী স্নানোৎসবে অংশ নিতে এসে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
দুই দিনব্যাপী স্নানোৎসবের শেষ দিন গতকাল মঙ্গলবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে স্নান করতে নেমে ডুবে যায় রাজদ্বীপ (৮) নামের ওই শিশু।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের চার নম্বর অন্নপূর্ণা ঘাটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রাজদ্বীপ চট্টগ্রামের পটিয়া থানার বেলমাইন গ্রামের উজ্জ্বল দাসের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, রাজদ্বীপ তার বাব-মা, দিদা ও বোনের সঙ্গে স্নান করতে নেমে ডুব দিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে তার নিখোঁজের বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অভিযান চালিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় অচেতন অবস্থায় রাজদ্বীপকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম জানান, মারা যাওয়া শিশুর বাবা-মায়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। চট্টগ্রামে তার নিজ গ্রামেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
সনাতন ধর্মের প্রচলিত রীতি অনুযায়ী অষ্টমী স্নানের লগ্ন শুরু হয়েছিল গত সোমবার বিকেল ৪টা ২১ মিনিটে। দুই দিনব্যাপী এই স্নানোৎসবে বিপুলসংখ্যাক পুণ্যার্থীর আগমন ঘটে। লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি সরোজ সাহা জানান, স্নানোৎসবে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের পুণ্যার্থীরা অংশ নেন। এবার ১০ থেকে ১২ লাখ পুণ্যার্থী অষ্টমী স্নানে অংশ নিয়েছেন। বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার ও র্যাবের সহস্রাধিক সদস্য নিয়োজিত ছিলেন। তীর্থস্থানের তিন কিলোমিটার এলাকায় ২০০টি সিসি ক্যামেরা ও একাধিক ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এ মুহাইমিন আল জিহান বলেন, ‘প্রতি বছরের মতো এ বছরও স্নানের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমরা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে এই স্নানোৎসবটি সম্পন্ন করতে পেরেছি।’