দোকান থেকে কম দামে প্রয়োজনীয় পোষাকটি কিনতে কে না চায়, আয় সীমিত হলেও ঈদে কেনা কাটার জন্য কিছু টাকা আলাদা করে রাখতে হয়।
হিম জিম বস্তোলায় ছেলের জন্য পোষাক কিনতে আসা নুশরাত জাহান নিশাত বলেন, ছেলের জন্য পোষাক কিনলাম। বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সাদিকুল বলেন আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে বাজার। তারপরও সন্তানের আবদার মেটাতে তার প্রিয় পোষাক কিনে দিলাম। একটা সময় এসে মা বাবার আয় চাহিদা থাকে না। অনেক সময় সন্তানের মুখে হাসি ফোঁটাতে নিজেদের কেনা কাটা হয়ে উঠে না।
ইমিটেশনের কানের দুল, চুড়ি ও পারফিউমের দোকানেও ভিড় আছে। ঈদমার্কেটে সাধারণত সকালে আর বিকাল থেকে রাতপর্যন্ত ভিড় হচ্ছে। দুপুরে রাস্তাঘাট দোকান পাটে লোকজনের উপস্থিতি একেবারেই কম। এর কারণ প্রচন্ড তাপদাহ।
এ দিকে বড়ভিটা টেইলার্স গুলোতে খোঁজ নিয়ে জান গেছে অনেকে নতুন অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। প্রচুর কাজের চাপে হিমসিম খাচ্ছেন প্রায় সব গুলো টেইলার্সের দোকান গুলো।
এ ব্যাপারে বড়ভিটা তুহিন টেইলার্সের মালিক বলেন, আমরা রোজার ১০ দিন আগে থেকে কাজ শুরু করেছি পুরো দমে। এবার কাজের চাপ বেশি তাই ঈদের আগে সকল পোশাক ডেলিভারি দেওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। বর্তমানে নতুন করে কোন অর্ডার নেয়া হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
বড়ভিটা হিম,জিম বস্তলায়ের মালিক আব্দুল আলিমের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বিভিন্ন অভিজাত বিপণীতে, ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে রমজানের দশদিন থেকেই। লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে, অভিজাত বিপণীতে বেচাকেনা তুলনামূলকভাবে কম। ভারতীয় কাপড়ের পাঞ্জাবী, থ্রিপিস, শাড়ীর বেচাকেনা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু আধিক্য কম। দেশী সুতী কাপড়ের চাহিদা বেশী। তবে বেশী বিক্রি হচ্ছে সাধারণ ঈদ মার্কেটে। গরীবের মার্কেট হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জ মার্কেটে ভিড় বেশী। এবার শিশু ও কিশোরদের পাঞ্জাবী, জুতা, স্যান্ডেল ও টি শার্ট এবং থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে বেশী। বড়দের জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে কম।
এদিকে আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীরা জানান, বরাবর ভারতীয় টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের তারকারা যে সব পোশাক পরেন তার প্রতি এদেশীয় মেয়েদের দুর্বলতা থাকে। তারাও সে বিষয়টি মাথায় রেখে দোকানে পোশাক তুলেছেন। বিক্রিও বেশ সন্তোষজনক। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বিক্রিও তত বাড়ছে। ঈদ উপলক্ষে শহরের প্রতিটি বিপণী বিতানে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা। এ জন্য প্রশাসনও রয়েছে সজাগ। ক্রেতা বিক্রেতারা যাতে নির্বিঘ্নে কেনাবেচা করতে পারেন সে জন্য প্রশাসন নিয়েছে কয়েক স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নীলফামারী পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম সবুর জানান, ঈদ সমাগত। কেনাকাটা করার জন্য শহরের সকল মার্কেটে মানুষের উপচেপড়া ভীড়। এই অবস্থায় মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করতে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সকাল থেকেই মার্কেট, গুরুত্বপুর্ণ রাস্তার মোড়ে পুলিশ মোতায়েন থাকছে। এর বাইরেও রয়েছে পুলিশের মোবাইল টিম। আশা করছি ক্রেতারা ভালভাবেই কেনাকাটা করে নির্বিঘ্নে বাড়ী ফিরতে পারেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh