রংপুর নগরীর ময়নাকুটি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও ময়নাকুটি হিমাগারের স্বত্বাধিকারীর নিকট চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীর উপর হামলা চালিয়েছে ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন হিমাগারের স্বত্বাধিকারী নুর মোহাম্মদ।
এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারাধন রায় ময়নাকুটি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড স্বত্বাধিকারী নুর মোহাম্মাদের নিকট দীর্ঘদিন যাবত মোটা অংকের অর্থ চাঁদা দাবি করে আসছে। এতে নুর মোহাম্মদ চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা জানালে কাউন্সিলর হারাধন রায় গত ১৮ই মার্চ রাতে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত ভাবে হিমাগারে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এতে ওই প্রতিষ্ঠানের সিাকিউরিটি গার্ড মাসুম আলী ও স্টোর কিপার শাহজালাল মিয়া বাঁধা প্রদান করলে কাউন্সিলর হারাধন রায় নিজেই তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত হয় সিাকিউরিটি গার্ড মাসুম আলী ও স্টোর কিপার শাহজালাল।
হামলার শিকার মাসুম আলী প্রতিবেদককে বলেন, কাউন্সিলর হারাধন রায় একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির মানুষ,এর আগে সে ময়নাকুটি এলাকার মাদক সম্রাট ছিলেন, আমাদের মালিকের নিকট প্রায় সময় চাঁদাবাজি করতে আসতেন। ঘটনার দিন ওনাকে আমি কোলস্টোরেজের ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়নি ফলে সে আমাকে অতর্কিত হামলা চালায়।
এবিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার রাকিবুল ইসলাম নিশাত প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের অনেক কর্মচারি কর্মকর্তা চাকুরী ছেড়ে দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে প্রতিমাসে মাসোহারা নিতেন হারাধন। এখন নতুন লোকজন তাকে মাসোহারা দেয়নি বলেই এঘটনার সূত্রপাত।
এ বিষয়ে ময়নাকুটি হিমাগারের স্বত্বাধিকারী ও মামলার বাদী নুর মোহাম্মদ প্রতিবেদককে বলেন, সে গত মাসের ১৮ তারিখে এই সন্ত্রাসী হামলা চালায়,আমি সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফোটেজ সংগ্রহ করে ঘটনার পরেরদিন কাউন্সিলর হারাধন রায় ও তার সহযোগী পিপাস রায়সহ অজ্ঞাত আরো ৬/৭জনকে আসামি করে হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানায় এজাহার দায়ের করি। এঘটনায় সে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মারফতে আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হুমকি ধামকি অব্যাহত রেখেছে। তারা কাউন্সিলর হারাধনের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় অনেকেই কাজে আসাও বাদ দিয়েছেন। তিনি কাউন্সিলর হারাধন রায়কে গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর হারাধন রায় বলেন, ময়নাকুটি হিমাগারের সামনে যত্রতত্র ভাবে আলুর ট্রাক রাস্তায় পার্কিং করে রাখছিল, এনিয়ে আমি একটু রাগারাগি করি, এ নিয়েই তারা আমার নামে মামলা করে। আমি ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছি।
হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারেসুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলর হারাধন রায় ফোনে যোগাযোগ করে জানিয়েছে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছে।
তবে এখন পর্যন্ত হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি দাখিল করেন নাই। তবে তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh