রংপুর বিভাগের আট জেলায় ২৬৮টি নদী বহমান রয়েছে। এদের মধ্যে কুড়িগ্রাম জেলাতেই রয়েছে বেশি। এই জেলায় ৬৬টি নদী আছে। এর পরেই রয়েছে পঞ্চগড়ে। এই জেলায় ৪৬ নদী বহমান রয়েছে।
রবিবার বিকেল পাঁচটায় নদী গবেষক হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষক ও রিভারাইন পিপল এর পরিচালক অধ্যাপক তুহিন ওয়াদুদ রংপুর বিভাগের এই ২৬৮ নদীর তালিকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফরের হাতে তুলে দেন।
এ সময় প্রাণ প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক সেচ্ছাসেবী সংগঠন কারিগর এর সভাপতি সরকার হায়দার, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রভাষক খাইরুল ইসলাম ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিভারাইন পিপল ক্লাবের আহ্বায়ক ছাওমুন পাটোয়ারী সুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।
অন্যান্য জেলার মধ্যে দিনাজপুরে ৩২, ঠাকুরগাঁওয়ে ২১, গাইবান্ধায় ১৬, রংপুরে ৩৪, নীলফামারি জেলায় ৩৩ এবং লালমনিরহাট জেলায় ২০টি নদ-নদীর নাম তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১১ সালে রংপুর বিভাগে ৮৪ নদীর তালিকা করে। ২০২৩ সালে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ১৩১টি নদীর তালিকা করে।
সরেজমিন অনুসন্ধান করে রংপুর বিভাগে ২৬৮টি নদীর সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ওই দুই গবেষক। এ সংখ্যাও চূড়ান্ত নয়। নদ-নদীর সংখ্যা এর চেয়েও বেশি হতে পারে। তালিকা প্রস্তুত করতে প্রত্যেক জেলার নদ-নদী নিয়ে কাজ করেন এমন ব্যক্তি ও সংগঠনগুলো তালিকা প্রস্তুত করতে সহযোগিতা করেছে বলে জানান তারা।
তারা প্রদত্ত নদীর সংখ্যা ও অনুসন্ধান সাপেক্ষে এই বিভাগের নদ-নদীর পূর্ণ তালিকা প্রকাশের আহ্বান জানান।
মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, নদ-নদীর পূর্ণাঙ্গ তালিকা করে নদ-নদী সংরক্ষণের উদ্যোগ এখন সময়ের দাবি।
ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, রংপুর বিভাগে আন্তঃসীমান্ত নদীর তালিকাও ঠিক নেই। সরকারি ভাবে ১৮টি আন্তঃসীমান্ত নদ-নদীর কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা ৫০ এর বেশি হবে। নদ-নদীর এই
তালিকা জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও বিভাগের ৮ জেলা প্রশাসককেও প্রদান করা হয়েছে।