মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে ২১টি বিয়ে করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী মরু মিয়া। তিনি নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চককালিকাপুর গ্রামের মৃত পিয়ার আলী দুখু মিয়ার ছেলে। ১০ বছর আগে ২৫ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে করেন বাবা-মায়ের পছন্দ মতো। তারপর প্রতিটি বিয়ের আগেই ভালোবাসার সম্পর্ক করেন মরু মিয়া।
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেই তিনি বিয়ে করেছেন। মরুর প্রথম স্ত্রী শহীদা বিবি এখনো তার পরিবারে রয়েছেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম নার্গিস। এরপর আলেয়া, তারা, সেলিনা, নছিমুন, জোসনা, রাবেয়া, মৌসুমি, কাজলী, শিরিনা, বিউটি, মতিজান, সাবিনা, আদরী, বিলকিস, জামিলা, আশেদা, খালেদা ও সর্বশেষ পারুলকে বিয়ে করেছেন।
পারুল খ্রিষ্টধর্মের হলেও চার বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে মরুর সঙ্গে ঘর সংসার করছেন তিন স্ত্রী।
মরু মিয়া জানান, পরিবারের ইচ্ছায় তিনি প্রথম বিয়ে করেন। এরপর যাকে তার পছন্দ হয় তখন তার মোবাইল ফোন নিয়ে প্রথমে কথা শুরু করেন। তারপর ‘যাদু দিয়ে বশীভূত করে’ বিয়ে করেছেন। একই পদ্ধতিতে তিনি ২১টি বিয়ে করেন।
তিনি আরও জানান, বাবার প্রতি অভিমান আর বড় বউয়ের অবহেলা তাকে এ পথে নিয়ে গেছে। তবে পা ভেঙে যাওয়ার পর বদলে গেছে মন-মানসিকতা।
কথার এক পর্যায়ে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমি ভুল করেছি। প্রতিজ্ঞা করেছি আর বিয়ে করব না।’
পাশাপাশি কেউ যেন কখনো তার মতো এমন ভুল না করে এ পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বর্তমানে তিনি প্রতিবন্ধী হয়ে সর্বশেষ স্ত্রীকে নিয়ে ভ্যানযোগে মান্দা ও রাজশাহীর বিভিন্ন হাট-বাজারে ভিক্ষা করছেন।
প্রতিবেশীরা জানায়, মরু বয়লারে কাজ করা অবস্থায় ২ মাস, ৩ মাস পর একটি করে বিয়ে করেন। এভাবে দীর্ঘ ১০ বছরে ২১টি বিয়ে করেছেন।