জনগুরুত্বপূর্ণ চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কটির বিভিন্ন স্থানে নির্মাণের ছয়মাস না পেরোতেই সড়কের পিচ উঠে ক্রমশ: ক্ষতচিহ্ন ফুঠে উঠছে। আবার অনেক স্থানে পিচ উঠে টিলার মতো উঁচু হয়ে আছে। যার ফলে ছোট-বড় সব ধরণের যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। প্রায় সময়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহনগুলো।
ইতেমধ্যেই কয়েকদফা এসব মেরামত করা হলেও কয়েক দিন পরেই পুরানো বা নতুন কোন স্থানে সড়কের পিচ উঠে যাচ্ছে। এসব নিয়ে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী লোকজনকে ক্ষুুব্ধ পত্রিক্রিয়া প্রকাশ করতে দেখা গেছে। যদিও চাঁদপুর সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে গর্ত মেরামতের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে।
জানা গেছে, চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কের ১৭ কিলোমিটার নির্মাণ কাজ গত ৬ মাস পূর্বে সম্পন্ন করে হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষের কয়েক মাসের মধ্যেই আস্তে আস্তে সড়কের বিভিন্ন অংশের কোথাও পিচ উচু হয়ে গেছে, কোথাও পিচ সরে গিয়েছে। গত ছয়মাসে এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ইতেমধ্যেই উঁচু হয়ে যাওয়া অংশগুলো কতৃপক্ষ মেরামত করলেও কিছুদিন পর সেগুলোও আগের অবস্থানে ফিরে যাচ্ছে।
সরেজমিন পরিদর্শন কালে দেখা গেছে, গর্ত এবং পিচ উঠে উচুঁ হওয়ার কারণে অধিকাংশ যানবাহন তা পাশ কাটিয়ে চলে। তবে বড় ধরণের যানাবহন ওই গর্তের ওপর দিয়ে চলার কারণে খুব দ্রুত পিচ উঠে মানচিত্রের মতে বড় হচ্ছে এবং সড়কের পুরনো পিচ ঢালাই দেখা যাচ্ছে।
সড়কটি ব্যবহারকারী সিএনজি অটোরিকশা চালক আনোয়ার, আবুল হোসেনসহ কয়েকজন বলেন, কাজের সময় দেখে আমরা খুশি হয়েছিলাম। এখনই সড়ক নষ্ট হয় যাচ্ছে। আমাদের মতো ছোটযান গুলোকে মাঝে মধ্যেই বিপদে পড়তে হয় এসবের কারণে।
স্বল্প দুরত্বের অটোবাইক চালক আলমগীর হোসেন বলেন, এটি একটি ব্যস্ত সড়ক। চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রামসহ বহু জেলার যাত্রীবাহী বাস এবং মালবাহী গাড়ী চলে। বিশেষ করে এই সড়ক দিয়ে প্রচুর পরিমাণে ছোট গাড়ী চলে। সড়কের কাজ ভাল হয়নি।
চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা ফাহাদ আলম বলেন, সড়কটি একটি ব্যস্ততম সড়ক। সড়কটির কাজের সময় কর্তৃপক্ষ সঠিক ভাবে নজরদারী না করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ ছাড়া ভাল কাজ সম্ভব নয়।
ধানুয়া গ্রামের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, সড়কটির দক্ষিণ ধানুয়া ঈদগাঁ থেকে শুরু করে উপজেলার ভাঙাপুল পর্যন্ত বেশী গর্ত হয়েছে। মেশিন দিয়ে সড়ক ঢালাই দিয়েছে। কাজ ভাল হলে কমপক্ষে ৩-৪ বছর রাস্তা ভাল থাকার কথা।
চাঁদপুর সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ওয়াছিউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, চাঁদপুর-রায়পুর সড়কের পিচ উঠে যাওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত মেরামত করার জন্য বলা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেড এর সিকিউরিটি মানি ৩ বছরের জন্য জমা আছে। তারাই কাজটি মেরামত করবে।