ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে পল্লী বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিংয়ের কারণে মানবন্ধন করেছেন স্থানীয় কৃষকরা।
বোরো মৌসুমের শুরু থেকে দিনে-রাতে সবমিলিয়ে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পায় না পল্লী বিদ্যুতের উপজেলার প্রায় ১৪৫৮টি সেচসহ ৬২ হাজার গ্রাহক। তাই ২৪ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে পল্লী বিদ্যুতের হালুয়াঘাট জোনাল অফিসের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে যোগ দেয় স্থানীয় শতাধিক কৃষক ও পল্লী বিদ্যুতের সেচ গ্রাহকগণ। মানববন্ধন শেষে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন আবু সাঈদ,আক্তার হোসেন,রাসেদুল, শাহজালাল, সিরাজ উদ্দিন, আবুল কাশেম ফজলুল হক, রেজাউল করিম, তানভীর আহমেদ প্রমুখ। পরে পল্লী বিদ্যুতের হালুয়াঘাট জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নুরুল হুদা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ সময় বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে হালুয়াঘাটে বোরো আবাদে ক্ষেত্রে পানির প্রয়োজন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে দিনে ও রাতে মিলিয়ে ২ থেকে ৩ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে। কৃষকরা বোরো ক্ষেতে পানি দিতে পারছেন না। এতে করে রোপনকৃত ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। বিদ্যুৎ অফিসে এ সকল অভিযোগ নিয়ে গেলে দায়িত্বে থাকা ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. নুরুল হুদা গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। যদি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ না করা হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. ইমরান হোসাইন বলেন, হালুয়াঘাটে বিদ্যুতের মোট চাহিদা ২০ মেগাওয়াট অথচ আমরা পাচ্ছি ৪ থেকে ৫ মেগাওয়াট যার কারণে ২-৩ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। আমরা উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে ২৪ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করে যাচ্ছি। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।