ঢাকার কেরানীগঞ্জে 'ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতি'র উদ্যোগে ‘পিঠা উৎসব ২০২৪’ এর প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম পর্বের এ পিঠা উৎসবে ১৪ পদের ৫০ হাজার পিঠায় আপ্যায়ন করা হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার পরিবারকে।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেরানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির উপদেষ্টা মীর আশরারুল হাসান আসু। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমিতির আরেক উপদেষ্টা মো. মুজিবুর রহমান।
২০১৯ সালে প্রথম এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করে ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতি। পরে প্রতিবছর শীতের মৌসুমে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এবার ৫ম বছরে পিঠা উৎসবে মেতেছেন ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাসিন্দারা। উৎসবে তাঁদের আপ্যায়নে নকশি পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, ডিম পিঠা, পোয়া পিঠা, ভাপা পিঠা, দুধ পিঠা, নারকেল পিঠা, গুলগুলাসহ বানানো হয় ১৪ পদের ৫০ হাজার পিঠা। এসব পিঠা বিনামূল্যে খেতে দেওয়া হয় কেরানীগঞ্জের সাড়ে ৩ হাজার পরিবারের অতিথিদের। উৎসবে পিঠার পাশাপাশি ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন।
বন্ধুদের সাথে পিঠা উৎসবে এসেছেন আকাশ বেপারি।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিবছর আমগো ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির পিঠা উৎসবের অপেক্ষায় থাকি। এইটা খালি পিঠা উৎসব না, এইটা আমগো কেরানীগঞ্জ বাসির একটা মিলনমেলা।
পিঠা উৎসবে সপরিবারে পিঠা খেতে এসেছেন সামাদ হক। তিনি বলেন, বাঙালির ঐতিহ্যের একটি অংশ হচ্ছে পিঠা। বাংলাদেশের কোথাও এত বড় পরিসরে বিনা মূল্যে পিঠা উৎসব হয়না। এখানে পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ভীষণ ভালো লাগছে।
ঢাকাইয়া কেরানীগঞ্জ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদুল হক সাহিদ বলেন, বাঙালি সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে আমাদের একে অপরের সাথে যোগাযোগ-মিলবন্ধন রক্ষার জন্যই এ উৎসবের আয়োজন। আমরা চাই পিঠা-পুলির সাথে নতুন প্রজন্ম পরিচিত হোক। আর পিঠার সাথে পরিচিতি নতুন প্রজম্মকে তার মা-খালা, দাদী-নানীদের কাছে টানবে। এবার পিঠা উৎসবে ১৪ রকমের ৫০ হাজার পিঠা তৈরী হয়েছে। এবারের আয়োজনে সাড়ে ৩ হাজার পরিবার অতিথি ছিলো। আমার জানামতে, এত বড় পরিসরে এ ধরনের পিঠা তৈরি ও খাবারের ব্যবস্থা অন্য কোনো সংগঠন বা সংস্থা এর আগে আয়োজন করেনি। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি কলাতিয়ায় আমাদের দ্বিতীয় পর্বের পিঠা উৎসব ২০২৪ অনুষ্ঠিত হবে।