পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুজন আলী স্বপনকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অন্যতম আসামি আমিরুল ইসলামসহ কয়েকজন আসামি জামিন না নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। অন্যদিকে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকিদাতাকে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে পাবনা পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
হুমকিদাতা আমিরুল ইসলাম চরতারাপুর ইউনিয়ন টাটিপাড়া গ্রামের আক্কাস আলী খানের ছেলে। এছাড়াও একাধিক আসামী প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। এলাকায় প্রভাব বিস্তার করছে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ও মামলা দায়েরের এক মাস অতিবাহিত হলেও মামলার এজাহারভূক্ত আসামী আমিরুলসহ কয়েকজন জামিন না নিলেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়ালেও পুলিশ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে চলছে। ভুক্তভোগীদের নানা ধরণেন হুমকি ধামকী দিচ্ছে।
মামলার ভিকটিমদের বাড়ির সামনে দিনে-রাত্রে গিয়ে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য। গত ০১/০১/২০২৪ ইং তাং মামলা হলে ০২/০১/২০২৪ বিকেল ৫টার দিকে ও ৩০ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে মোবাইল নাম্বার দিয়ে বাদী মোছাঃ মমতা খাতুনকে ফোন দিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেয় এবং মামলা না তুলে নিলে জানে মেরে ফেলার ঘোষণা দেওয়া হয়।
মামলার বাদী ভুক্তভোগী মমতা খাতুন বলেন, আমাকে আমিরুল নামের আসামী মামলা তুলে নেওয়ার জন্য দুইদিন করে ফোনে হুমকি দিয়েছে। মামলা না তুলে নিলে আমাকে নাকি হত্যা করা হবে। আমি খুবই নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। বিচার চেয়ে পাবনা পুলিশের নিকট দরখাস্ত দিয়েছি। এখনো ১ মাস অতিবাহিত হলেও আসামীরা গ্রেফতার হয়নি।
মামলার আসামি আমিরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফেন রিসিভ করেননি।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, অভিযোগ হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর আসামী গ্রেপ্তারের বিষয়ে আমাদের টিম কাজ করছে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ ডিসেম্বর পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের আড়িয়া গোহাইল বাড়ি এলাকায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক শিক্ষকসহ দুজনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় ১৪ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় চরতারাপুর ইউনিয়নের মালপাড়া চোকদারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত মজিদ প্রামানিক ও একই গ্রামের বাচ্চু প্রামানিককে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করে পুলিশ।