অনেক বছর পর হলেও চিকিৎসা সেবার সুফল পাচ্ছে দেশের একমাত্র বিচ্ছিন্ন দ্বীপ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার প্রসূতি মাসহ দ্বীপের বাসিন্দারা।
ফলে সেবা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মরত ডাক্তাররা। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে দ্বীপাঞ্চলের এই হাসপাতাল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৃর্ণমুল পর্যায়ে রোগীদের মাঝে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন।
সেবা নিতে আসা পারভীনসহ কয়েকজন রোগী জানান, হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে যত্নসহকারে মায়েদের সেবা দেয়া হয়। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় শিশু ও মায়ের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে আল্ট্রসনোগ্রাফি করানো হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিমাসে প্রায় ৩৫০ জন রোগীর আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করানো হয়। পূর্বে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন না থাকায় রোগীরা নানান সমস্যায় পড়তো, যা লাঘব হয়েছে অত্যাধুনিক মোবাইল আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনটি হাসপাতালে যোগ হওয়ার পর।
অপরদিকে মহেশখালী বাসীর অনেকদিনের স্বপ্ন সিজারিয়ান সেকশন। গত ২২ সনের ১৭ মে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জটিল গর্ভবতী মহিলাদের জন্য সিজার অপারেশনের মাধ্যমে ডেলিভারি সুবিধা চালু হয়েছে। সিজার অপারেশনের ওটি রুম, গাইনী কনসালটেন্ট, এনেস্থিসিয়ার কনসালটেন্ট,মেডিকেল অফিসার,ওটি নার্স, ওয়ার্ড বয় সকলেই মহেশখালী বাসীর সেবার দিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানায়, কোন প্রসূতি মায়ের অবস্থায় অবনতি হলে বা সিজারের প্রয়োজন হলে আগে আমাদের জেলা শহর যাওয়া ছাড়া বিকল্প কোন উপায় ছিল না। বর্তমানে আমাদের হাতের নাগালে এ ব্যবস্থা চালু হওয়ায় কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই সিজারিয়ান সেবা আমাদের হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যবস্থা আরও বেগবান করতে ও মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সিজার সেবায় সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা: মাহফুজুল হক বলেন, চালু হয়েছে চক্ষু রোগীদের চিকিৎসা সেবা।
এছাড়াও উন্নত চিকিৎসা সেবার জন্য মা ও শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আধুনিক সেবা চালু করা হয়েছে। এখন নরমাল ডেলিভারির পাশাপাশি প্রসূতি মায়েদের জন্য সিজারিয়ান ডেলিভারি ব্যবস্থা। তাছাড়া এখান থেকে জেলা সদর হাসপাতালের দূরত্ব ও অনেক। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা থাকার পরেও যে, আমরা চালু করতে পেরেছি সেটাই আমাদের কাছে আনন্দের ব্যাপার। এই সেবা চলমান রাখতে আমি আমার জায়গা থেকে কাজ করে যাব।
এছাড়াও মহেশখালী উপজেলার নাগরিকদের আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা চলমান রয়েছে।