সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জেলেবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলেকার্ড প্রদানের মাধ্যমে এ পেশাকে আলাদা পরিচয়ের স্বীকৃতি দিয়েছেন। জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষায় অভয়াশ্রম চলাকালে বেকার হয়ে পড়া কার্ডধারী জেলেদের চাল সহায়তা প্রদান করছেন। আওয়ামী লীগ সরকার জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান ও আর্থ সামাজিক উন্নয়ন বৈধ জাল, সেলাই মেশিন, ছাগল ও বকনা বাছুর বিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, সুফলভোগী জেলেরা বকনা বাছুরগুলো সঠিকভাবে লালনপালন করলে তারা আরো স্বাবলম্বী হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার নিবন্ধিত সুফলভোগী জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন।
২৬ জানুয়ারি বিকেলে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (১ ম সংশোধিত) এর আওতায় নিবন্ধিত জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের উপকরণ হিসেবে সুফলভোগী জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সদর উপজেলা মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাখাওয়াত জামিল সৈকত।সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম দেওয়ান, জেলা মৎস্য কর্মকতা মোঃ গোলাম মেহেদী হাসান,জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জ্বল হোসেন পাটওয়ারী, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকতা মোহাম্মদ মুকবুল হোসেন,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আইয়ূব আলী বেপারী,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা মৎস্যজীবী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহ আলম মল্লিক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মিজি, সদর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সফিকুর রহমান বেপারী, পৌর মৎস্যজীবী লীগের সহসভাপতি মোখলেছ মল্লিক প্রমুখ।
আলোচনা সভাশেষে ১৬ জন সুফলভোগী নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে ১৬টি বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়।