শেরপুর নালিতাবাড়ী উপজেলার যোগানিয়া ইউনিয়ন ভাইটকামারী এলাকা হতে শাহ কামাল উরফে কদি নামক এক দিনমজুরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে ১১টায় উপজেলার যোগানিয়া ইউনিয়নের ভাইটকামারী কুত্তামারা এলাকার স্টিলের ব্রীজের হরেখালি নামক খালের পাড়ে ঝোপঝাড়ের ভিতরে এক গলাকাটা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পায় এক যুবক। পরবর্তীতে ফোন করে পুলিশকে তা জানালে ঘটনাস্থল থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ।নিহত শাহ কামাল উরফে কদি (৩৫) অত্র যোগানিয়া ইউনিয়নের ভাইটকামারী এলাকার মৃত জবেদ আলীর পুত্র। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।
এ হত্যার রহস্য উন্মোচনে অতীতের অন্যান্য ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে নিহত শাহ কামালের মামা সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হবি ও তার স্ত্রী সন্তানসহ সর্বমোট ৫ জনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ও নিহতের স্ত্রী শেফালী বেগমের তথ্যমতে, গত বৃহস্পতিবার(২৫ জানুয়ারি) আনুমানিক রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রতিদিনের মতো বাসা থেকে রাতের খাবার খেয়ে চা খেতে বাজারে যান শাহ কামাল কদি । কিন্তু সেই রাতে তিনি আর বাড়ীতে ফিরে যায় নি । শাহ কামাল বাড়ীতে না ফেরায় তার স্ত্রী ও আত্মীয়স্বজন সেই রাতেই বিভিন্ন জায়গায় খোজ করে তার খোজ পায়নি। পরদিন শুক্রবার সকাল ১১টার সময় অত্র এলাকার এক যুবক ভাইটকামারী এলাকার হরেখালি খাল পাড়ে নিহত শাহ কামাল কদি'র গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। পরবর্তীতে কল করে পুলিশকে তা জানালে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ সেই গলাকাটা শাহ কামালের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এলাকাবাসীরা জানান, শাহ কামাল কদি খুব সহজ সরল মানুষ ছিলেন। তিনি কারোর শত্রু হতেই পারে না। শাহ কামাল হয়তো কারোর বলি হয়েছেন।
এই হত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম। সেইসাথে এই হত্যার রহস্য উদঘাটনে সিআইডি বিভাগ সহ অন্যান্য বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।
এ নিয়ে যোগানিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল লতীফ বলেন, শাহ কামাল'কে এভাবে কারা হত্যা করেছেন তা ধারণার বাইরে আমার। তবে এই হত্যাকান্ডের সাথে যেই জড়িত হোক না কেনো তাকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম বলেন, আমরা অতীতের বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে জিজ্ঞাসাবাদের লক্ষ্যে নিহত ব্যক্তির মামাসহ পরিবারের ৫জনকে থানায় নিয়ে এসেছি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে এবং সেইসাথে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি।