মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় চারদিন ধরে তিতাসের একটি এস্কেভেটর আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, সঞ্চালন লাইনে চেক ভাল্ব স্থাপনের জন্য গত ১৬ জানুয়ারি সকালে গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের তেতৈতলা এলাকার গ্যাস সংযোগ বন্ধ রাখা হয়। স্থানীয় লোকজন তিতাস কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে তৎক্ষণাৎ গ্যাস সংযোগ চালু করার দাবি জানালে ৩ দিনের মধ্যে ওই এলাকার গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে তিতাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়। তবে এলাকাটিতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করে একাধিক চুলা ও ঢালাই লোহার কারখানা থাকায় গ্যাস সংযোগ দেবার আগে অবৈধ ওই কারখানাতে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বালুয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিটু প্রধান কারখানাগুলোর অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে তিতাস কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করবেন এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) তেতৈতলা পুরাতন ফেরীঘাট এলাকার একটি চুনা কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নপূর্ব কারখানাটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে আরেকটি চুনা কারখানা ইউপি সদস্য রিটু প্রধানের ফুফাতো ভাই সাইদীর হওয়ায় ওই কারখানায় অভিযান চালাতে তিতাস কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। তবে সব অবৈধ কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করা পর্যন্ত গ্যাস সরবারহ স্বাভাবিক করা হবে না বলে তিতাসের পক্ষ থেকে জানানো হলে তিতাসের একটি এস্কেভেটর আটকে রিটু প্রধান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিষয়টি সম্পর্কে তিতাস গ্যাসের মেঘনা আঞ্চলিক বিপণন অফিসের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, চারদিন ধরে একটি এস্কেভেটর আটকে রাখা হয়েছে। দৈনিক ভাড়ার ভিত্তিতে আমরা এস্কেভেটরটি এনেছিলাম। চারদিন ধরে আটকে রাখায় অনেক টাকা বিল জমে গেছে। বিষয়টি আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রিটু প্রধানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ' আমি কেন একটি এস্কেভেটর আটকে রাখবো? বৈধ গ্রাহক যারা মাসিক গ্যাস বিল পরিশোধ করে গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করে বেশ কয়েকদিন ধরে গ্যাস না থাকায় তারাই ক্ষুব্ধ হয়েএকটি এস্কেভেটর আটকে রেখেছে'।
বিষয়টি সম্পর্কে তিতাসের মেট্রো ঢাকা বিপণন ডিভিশন উত্তরের মহাব্যবস্থাপক (অতি.দা) মো. ফয়জুল বারীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এরকম কোন ঘটনা আমার জানা নেই। আমি খবর নিয়ে দেখছি।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজিব খান বলেন, স্থানীয়ভাবে এরকম একটা খবর পেয়েছি তবে এখনো পর্যন্ত কেউ এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।