রংপুরের বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ দুই উপজেলায় কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকরা কাজ শেষ হলেও ময়ূরীর টাকা পাচ্ছেন না। বিধি অনুযায়ী তাদের প্রতি সপ্তাহে মজুরি দেওয়ার কথা। টাকা না পাওয়ায় শ্রমিকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
দুই উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারে তারাগঞ্জে ৪০ দিনের কাজ করছেন কর্মসৃজনের ৯০০ জন এবং বদরগঞ্জে ১ হাজার ৫৮৯ জন শ্রমিক। বিধি মোতাবেক দৈনিক কাজের বিনিময়ে সাধারণ শ্রমিক ৪০০ টাকা এবং দলনেতারা পাবেন ৪৫০ টাকা। তারাগঞ্জের কাজ শুরু হয় গত ১১ নভেম্বর শেষ হয় ৮ই জানুয়ারি এবং একই তারিখে কাজ শুরু হয় বদরগঞ্জে শেষ হয় ৬ জানুয়ারি। শ্রমিকরা রাস্তা, কবরস্থান, ঈদগা মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে মাটি ভরাটের কাজ করেছে।
বদরগঞ্জের কর্মসৃজনের শ্রমিক মিনতি রানী বলেন, কত কষ্ট করি মাটি কাটানো টাকার আশাত। আমরা দিনা আনি দিন খাওয়া মানুষ ৪০ দিন কাম করিও টাকা দেওচে না। সংসার চালাই কেমন করি।
ইকরচালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কর্মসূজন প্রকল্পের সদ্দার শামসুল ইসলাম বলেন, ‘শ্রমিকরা প্রায় ফোন করে জানতে চান কোন দিন টাকা দিবে। কিন্তু কিছু কবার পারিনা। মেম্বার চেয়ারম্যানও কবার পারেনা কবে টাকা দেবে। সরকারের কি এত অভাব পড়ছে যে হামার দিন আনি দিন খাওয়া মানুষের টাকা আটকে দেচে।’
তারাগঞ্জের ইকরচালী ইউনিয়নের ছুট মনানগর গ্রামের কর্মসৃজনের শ্রমিক মনোয়ারা বেগম বলেন, আগত সাত দিন পর পর টাকা দিয়েছিল। এবার ৪০ দিন মাটি কাটার কাজ শেষ করিও টাকা পাইনো না। সংসার চলবারে পাওচু না। খুব বিপদে আছি।
বদরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের প্রথম কিস্তির বিল ২১ ডিসেম্বর অধিদপ্তরে পাঠিয়েছি। দ্বিতীয় কিস্তির বিল প্রস্তুত করা হচ্ছে। আশা করছি শ্রমিকদের দ্রুতই প্রথম কিস্তির মজুরি টাকা পেয়ে যাবেন। প্রায় একই কথা জানান তারাগঞ্জের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলতাব হোসেন।