সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আটি এলাকায় গণপিটুনিতে মিলন মিয়া (৩৬) নামের এক যুবক নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন।
সোমবার সিদ্ধিরগঞ্জের ৪নং ওয়ার্ড আটিগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে ২১ জানুয়ারি রাতে ওই এলাকায় একই ঘটনায় আরো দুইজনকে গনপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
নিহত মিলন মিয়া (৩৬) কুমিল্লা জেলার কোন এক গ্রামের আদি বাসিন্দা এবং নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার আটি এলাকার ভাড়াটিয়া চোরা কাসেম মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়,আটিগ্রামসহ পুরো ওয়ার্ডজুড়ে বিভিন্ন সময় মিলন চুরি-ডাকাতিতে সম্পৃক্ত ছিলো। বিভিন্ন সময়ে তারা হামলা চালিয়ে স্বর্ণালংকারসহ টাকাপয়সা লুট করতো।আটিগ্রাম এলাকার মসজিদের ইমামের বাসায় ১৯ জানুয়ারী রাতে মিলন দলবদ্ধ হয়ে ডাকাতি করে। এলাকা থেকে ২১ জানুয়ারী রাতে তার দলের সদস্য নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা মজিবুর রহমানের ছেলে উজ্জল(২৯), সিদ্ধিরগঞ্জ থানার খোলাপাড়া রেললাইন এলাকার বাসিন্দা জসিমউদ্দীনের ছেলে হৃদয় মিয়া (২৪) অপরাধ সংঘটনের জন্য যায়।সেখানে রাতে এলাকাবাসী হৃদয় ও উজ্জলকে আটকের পর গণপিটুনি দেয়। আহত উজ্জল ও হৃদয় নিজেদেরকে ইমামের বাড়িতে ডাকাতিতে জড়িত থাকার দায় স্বীকারসহ মিলন এবং অন্যদের নাম প্রকাশ করে।সেখান থেকে রাতেই হৃদয় ও উজ্জলকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে মিলন ও জনিসহ তিনজন সেই এলাকায় ২২ জানুয়ারি সোমবার দুপুরের পর স্থানীয় বাসিন্দা শাহজাহান (দুবাই শাজাহান)কে দুটি রামদা নিয়ে হামলা করার চেষ্টা করে।এলাকাবাসী তা প্রত্যক্ষ করে। মসজিদের মাইকে এলাকাবাসী ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয় ও মিলন,জনিসহ তিনজনকে গণপিটুনি দেন। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।ঘটনাস্থলেই মিলনের মৃত্যু হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, আটিগ্রাম এলাকায় এর আগেও চুরি- ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন সন্দেহে এলকাবাসীর গণপিটুনিতে মিলন নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। চুরি ডাকাতির ঘটনায় মিলনের সম্পৃক্ততা ছিলো কিনা সেই বিষয়টা স্পষ্ট নয়, তদন্ত চলছে। আমরা তার লাশ মর্গে পাঠিয়েছি। এলকাবাসীর গণপিটুনির বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। তবে মিলনের নামে পূর্বেও ডাকাতি এবং সন্ত্রাস বিরোধী একাধিক মামলা রয়েছে।