কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরীতে ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী সত্য চন্দ্র শীল (৫৫)কে লালমনিরহাট জলার আদিতমারী থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার ভোররাতে স্ত্রী লতা রাণী শীলকে (৩৮) কে নিজ বাড়িতে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর থেকে আলোচিত এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং আসামি ধরতে তৎপরতা শুরু করে।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার জানান, উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং বিষয়টি গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে ঘাতক স্বামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে প্রকাশ্য ও গোপন অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রাখে। অভিযানের একপর্যায়ে নাগেশরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সরোয়ার পারভেজ ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) প্রভাত রঞ্জন রায়সহ একটি টিম গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে আসামি লালমনিরহাটের সীমন্তবর্তী এলাকা লোহাকুচি বর্ডার হয়ে পালানোর চেষ্টা করছে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ সাড়াশি অভিযান চালিয়ে পলাতক ঘাতক স্বামী সত্য চন্দ্র শীলকে লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানাধীন পলাশী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়াইবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গতকাল রোববার (২১ জানুয়ারি) রাত ১০টায় গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও হত্যাকান্ডে আসামির ব্যবহৃত কাঠের হাতলযুক্ত রক্তমাখা ধাঁরালো কুড়াল ও আসামির পরা সাদা রংয়ের রক্তমাখা সুইটার ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া চলে আসছিলো। গতকাল রোববার (২১ জানুয়ারি) ভোরে স্বামী সত্য চন্দ্র শীল তার ঘুমন্ত স্ত্রী লতা রাণী শীলকে কুড়াল দিয়ে ঘারে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত লতা রাণী শীলের পিতার বাড়ি চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের মহাদেব পাট এলাকার শীলপাড়ী গ্রামে। নিহতের স্বামী সত্য চন্দ্র শীল নাগেশ্বরী পৌরসভার হেলিপোর্ট, কবিরের ভিটা গ্রামের বাসিন্দা।