নৌকার পরাজয় হয় নাই, সুক্ষ্ম কারচুরি করে নৌকাকে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পরাজিত প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপ মিয়া। একটি অদৃশ্য শক্তি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
মাদারীপুর-০৩ আসনের নৌকার পরাজিত এই প্রার্থী আরো বলেন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকারের লোক। কিন্তু এদের বাইরেই একটি পক্ষ নৌকাকে হারানোর জন্য কাজ করেছে, এটা প্রমানিত হয়েছে। সেই পক্ষটিকে খুঁজে বের করতে হবে। এই পক্ষটি নির্বাচনের দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে। সাথে সাথে রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। আমি চেয়েছিলাম একটা অ্যাকশন হোক, কিন্তু তা হয়নি। আমি মনে করি সারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু ভোট হলেও মাদারীপুর-৩ আসনে হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র থেকে নৌকার এজেন্টকে বের করে দেয়া হয়েছে। পরে ভেতরে বসে নিজেদের মতো ভোট নেয়া হয়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আরো সুন্দর ফলাফল নৌকার পক্ষে আসতো। কালকিনি পৌরসভার ১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি কেন্দ্রই তারা দখলে নিয়েছে, এগুলো লিখিতও জানানো হয়। কিন্তু ব্যবস্থা আর হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাদারীপুর-২ আসনে সদ্য বিজয়ী নৌকার প্রার্থী শাজাহান খান, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ আবুল বাশার, কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান সরদার, কালকিনি পৌর মেয়র এসএম হানিফসহ অনেকেই।
প্রসঙ্গত, মাদারীপুর-৩ আসনে ঈগল প্রতিকে ৯৬ হাজার ৩শ ৩৩ পেয়ে বিজয়ী হন স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগম। তিনি কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। অপরদিকে নৌকা প্রতিকে ড. আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপ পান ৬১ হাজার ৯শ ৭১ ভোট। পরাজিত এই প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশান সম্পাদক।