জলাবদ্ধতা নিরসনে অভয়নগর উপজেলা প্রশাসন সরকারি খাল দখলমুক্ত করা, খালের পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে কচুরিপানাসহ আবর্জনা পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের সুন্দলী নামক খালে প্রায় এক যুগ ধরে জমে থাকা কচুরিপানা ও আবর্জনার স্তূপ স্বেচ্ছাশ্রমে পরিষ্কার করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের আহ্বানে শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এলাকার নারী-পুরুষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্কাউট, গ্রাম পুলিশ, এনজিও কর্মী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ প্রায় তিনশ মানুষ এ কাজে অংশ নেয়।
ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত সুন্দলী বাজার সংলগ্ন একটি সেতুর দুই পাশে জমে থাকা দুই কিলোমিটার কচুরিপানা ও আবর্জনার স্তুপ অপসারণ করা হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন, অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ। অপসারণ কার্যক্রমে অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) থান্দার কামরুজ্জামান, জেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান, এপি আহসান হাবিব, নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রবিউল হাসান, কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ, অধ্যক্ষ খায়রুল বাসার, সাবেক শিক্ষক সুনীল দাস, নওয়াপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম মল্লিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক নওয়াপাড়ার বার্তা সম্পাদক এস জেড মাসুদ তাজ, সুন্দলী ইউপি চেয়ারম্যান বিকাশ রায় কপিল প্রমুখ।
নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রবিউল হাসান বলেন, ‘সরকারি খাল দখলমুক্ত করা ও জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ বলেন, ‘ভবদহ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী ও খাল দখলমুক্ত করাসহ পানিপ্রবাহ ঠিক রাখতে কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সুন্দলী ইউনিয়নের সুন্দলী খাল দিয়ে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল খাল দখলমুক্ত করাসহ কচুরিপানা অপসারনের কাজ করা হবে। দখলমুক্ত করা খাল পুনরায় দখল করার চেষ্টা করলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এছাড়া কচুরিপানা অপসারণের কাজ অব্যাহত থাকবে।’