উত্তরাঞ্চলের জেলা গাইবান্ধা । চলছে শীতকাল ।সারাদেশের ন্যায় গাইবান্ধায় দেখা দিয়েছে শীতের অনুভূতি । বেশ কয়েক দিন হচ্ছে সন্ধ্যার পর থেকে রাতে কুয়াশা পড়ছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা।
সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে শীত। পাতলা কাঁথায় রক্ষা হচ্ছে না শীত। তাই হিমেল ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন গরম কাপড়ের । দিনের বেলা আবহাওয়া গরম থাকলেও রাত থেকে সকালে সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত অনুভূত হচ্ছে শীত।
শীতের তীব্রতা বাড়ার আগেই মানুষেরা ভীড় জমাচ্ছে লেপ তোষক তৈরির দোকান গুলোতে।
তাই ব্যস্ততা বেড়েছে গাইবান্ধা জেলা শহরের লেপ তোষক তৈরির কারিগর ও ব্যবসায়ীদের।
শীতের প্রচন্ড ঠান্ডা পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে রাতের বেলা ঘুমে একটু আরামের জন্য লেপের উষ্ণতা প্রশান্তি এনে দেয়।
তাই গাইবান্ধা জেলার ৭টি উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার গুলোতে লক্ষ করা গেছে লেপ তোষক বিক্রেতাদের ব্যস্ততা।
এছাড়াও বেড়েছে ভ্রাম্যমাণ লেপ-তোষক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও।
গাইবান্ধা পৌর শহরের কাচারী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বর্তমানে বাজারে শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, প্রতি কেজি কালো হুল ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, সাদা তুলা ১১০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার পুরাতন বাদিয়াখালী বাজারের তুলা ও লেপ তোষক ব্যবসায়ী মো. জিল্লুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় তুলার দাম বাড়ার সাথে কাপড়ের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা গজ প্রতি দাম বেড়েছে। মাঝারি ধরনের একটি লেপ বানাতে খরচ হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা। তোষক বানাতে ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা খরচ হয়। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের দামী-কমদামী তুলার প্রকারভেদে লেপ-তোষক তৈরীতে দাম কম-বেশি হয়ে থাকে।