নগর ভবনের কতিপয় কর্মীর অবহেলা ও উদাসিনতায় বরিশাল মহানগরীর সাধারন মানুষের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বন্ধ রয়েছে গত মাসাধিক কালেরও বেশি সময় ধরে।
নগরীর ৮ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শপথ নেয়ার আগেই মৃত্যু বরন করায় ঐ দুটি ওয়ার্ডের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ আরো বেশী সময় ধরে। এমনকি জন্ম নিবন্ধনের সংশোধনী পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে। ফলে নগরীর বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিনিয়ত নানামুখি সমস্যায় পড়ছেন। জন্ম নিবন্ধনের অভাবে অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রের ত্রুটি সংশোধনী সহ ভিসা আবেদন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
গত ১৪ নভেম্বর বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৫ম নগর পরিষদ দায়িত্ব গ্রহনের পরে নতুন কাউন্সিলর ও পুনঃ নির্বাচিত কাউন্সিলরগন বরিশালের স্থানীয় সরকার শাখা থেকে তাদের পাস ওয়ার্ড সংগ্রহ না করায় এ নগরীর জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
নিয়ম অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ১০ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর গনের অফিস সচিবগন স্থানীয় সরকার শাখা থেকে এসব পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করার কথা।
কিন্তু প্রায় কোন ওয়ার্ড সচিবই গত এক সপ্তহেও তা সংগ্রহ করেন নি। বিষয়টি নিয়ে নগর ভবনের প্রশাসনিক শাখা থেকে বার বার তাগিদ দেয়াও হয়েছে বলে জানা গেছে। অপারদিকে ৮নম্বর ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের মৃত্যুর প্রেক্ষিতে বিধি অনুযায়ী ঐ দুটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট নারী কাউন্সিলরকে দেয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি। সদ্য বিদায়ী মেয়র পার্শ্ববর্তি দুটি ওয়ার্ডের দুজন কাউন্সিলরকে ঐ দুটি ওয়ার্ডের দায়িত্ব দিয়ে যান।
কিন্তু বিধি অনুযায়ী তাও পরিবর্তন করে সংশ্লিষ্ট নারী কাউন্সিলরকে ৮ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব না দেয়ায় ঐ দুটি ওয়ার্ডের সাধারন মানুষের দূর্ভোগের শেষ নেই।
বিষয়টি নিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মাসুমা আক্তার-এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, ‘অবিলম্বে পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সব ঠিক হয়ে যাবে’ বলেও আশাবাদ ব্যাক্ত করেন তিনি।