রংপুর মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব আব্দুস সালাম ও কর্মী ফারুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা করার চেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে হরতালের সমর্থনে নগরীর কলেজ রোড চারতলা মোড় এলাকায় মিছিল করলে পুলিশ ধাওয়া করে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের মুখপাত্র ও মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ জহির আলম নয়ন।
এর আগে ২৯ অক্টোবর নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্যালয় থেকে মহানগরের আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন-নবী ডনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার প্রস্তুতিসহ পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই দিন বিএনপির কার্যালয়ের পেছন থেকে নয়টি বোতলজাত পেট্রোলবোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পর গত ৩ নভেম্বর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু ও সদস্য সচিব অ্যাড. মাহফুজ উন-নবী ডনের স্থলে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হিসেবে শহিদুল ইসলাম মিজু এবং ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব পদে আব্দুস সালামকে দায়িত্ব দেন কেন্দ্রীয় কমিটি।
এদিকে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখান করে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন রোববার (সকাল থেকে রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, কামারপাড়া ঢাকা কোচ স্ট্যান্ডসহ নগরীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রী অভাব ও নিরাপত্তার আশঙ্কায় ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, চট্টগ্রাম, যশোর, খুলনাসহ বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার কোনো বাস চলাচল করছে না। তবে হাতেগোনা কয়েকটি আন্তঃজেলা বাস চলাচল করতে দেখা যায়। এছাড়া অন্যান্য দিনের মতো ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
সকাল থেকে এ রিপোর্ট লেখা (দুপুর ১২টা) পর্যন্ত রংপুর নগরীতে অবরোধের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। সকালে নগরীর গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ জেলা ও মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ থাকতে দেখা গেছে। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় হরতালের সমর্থনে নগরীতে জামায়াতে ইসলামী মিছিল করেছে বলে জানা গেছে।
রংপুর মহানগর পুলিশের কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান জানান, রোববার সকালে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী চারতলা মোড়ে পিকেটিংসহ নাশকতার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। সেখান থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতা চেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।
এদিকে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফেরদৌস আলী চৌধুরী বলেন, মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। এরপরও শহর ও মহাসড়কে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।