সিলেটে বেসরকারি একটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতারের পর তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার হাতিডহর গ্রামের হোসাইন আহমদের ছেলে আলবাব হোসেন লিমন (২২), মোগলাবাজার থানার নৈখাই পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে আমিনুল হক (২৪) ও একই থানার নৈখাই মাঝপাড়া গ্রামের সিদ্দেক আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্না (২৫)।
তাদের মধ্যে লিমনকে সিলেট মহানগরের শিবগঞ্জ পয়েন্ট, আমিনুলকে ঢাকার মতিঝিল থানাধীন সাজেদা টাওয়ারস্থ সিকিউরেক্স কোম্পানির অফিস এবং নুরুলকে ভৈরব থানাধীন উজানভাটি হোটেলের সামনে থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর ডাচ বাংলা বাংকের নগরের সুবিদবাজারের এটিএম বুথে ২৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জমা করা হয়। কিন্তু ক্যাশজ্যাম জনিত সমস্যার কারণে তখন টাকা জমা হয়নি। এরপর ৩০ অক্টোবর বুথে গিয়ে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকার গড়মিল পাওয়া যায়। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ২৮ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৫ থেকে ১২টা ১৫ মিনিটের মধ্যে মাথায় কালো ক্যাপ, মুখে মাস্ক ও চোখে পরে ২-৩ জন ব্যক্তি ব্যাংকের বুথের ভোল্ট খুলে টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।
এর আগে শুক্রবার বুথে টাকা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সিকিউরেক্স প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ প্রতিষ্ঠানটির সিলেট জোনের এটিএম অফিসার সন্দীপন দাস এবিষয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিকিউরেক্স কোম্পানির দুই কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে সন্দীপন দাস উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন বিবাদীর মধ্যে কোম্পানীর এটিএম অফিসার আলবাব হোসেন ও আমিনুল হক ঘটনার সাথে জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ তার।
মামলা করার দিনই লিমন নামের এক আসামীকে শিবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকি দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার তিনজনের মধ্যে লিমন ও আমিনুল সিকিউরেক্স নামের প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা।
এদিকে, গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে লিমনের বসতঘর থেকে ১০ লাখ, নুরুলের বর্তমান ঠিকানা সিলেটের দক্ষিণ সুরমর কদমতলী এলাকার স্বর্ণশিখা আবাসিক এলাকার ১০৮নং বাসা থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার, আমিনুলের বসতঘর থেকে ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
বাকি টাকার মধ্যে ৬ লাখ ৭৮ হাজার টাকা আসামিরা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রেখে দিয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা তারা খরচ করে ফেলেছেন বলে জানায় পুলিশ।