নাটোরে পৃথক দুইটি মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক।
রবিবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।
মামলার রায় ঘোষনার সময় অভিযুক্তরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
নাটোর আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান জানান, ২০১১ সালের ১৫ মার্চ যোতুকের দাবিতে গৃহবধূ রুবী রানী মহন্তকে পিটিয়ে ও শ্বাষরোধে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে ফেলে রাখে নিহতের স্বামী, শাশুড়িসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বিষয়টি এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যায় নিহত রুবীর বাবাসহ আত্মীয়-স্বজনরা। সেখানে মেয়ের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির বারান্দায়। পরে রুবী রানীর বাবা তপন চন্দ্র মহন্ত ঘটনাটি পুলিশকে জানায় এবং তিনি বাদী হয়ে মেয়ের জামাই দুলাল মহন্ত, শাশুড়ি গীতা মহন্তসহ ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে নিহতের স্বামী দুলাল মহন্ত ও শ্বাশুড়ি গীতা মহন্তের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক আজ অভিযুক্তদের উপস্থিতিতেই মামলার রায় প্রদান করেন। অপরদিকে নাটোর সদর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের এক গৃহবধুকে ধর্ষণ ও প্রাণনাশের হুমকি মামলায় ওয়াজেদ আলী নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত ওয়াজেদ আলী সদর উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের মৃত হেলাল উদ্দিনের ছেলে। মামলায় উভয় বাদী পক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।