আশুলিয়ায় খামারগুলোতে কুরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। এরই মধ্যে অনেকে তাদের পশু বাজারে তুলেছেনও। তবে শেষ মুহূর্তে ভারতীয় গরু না ঢুকলে বেচাকেনা ভালোই হবে বলে জানান খামারিরা।
শুক্রবার(৯জুন) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন দক্ষিণ গাজিরচট দুদু মার্কেট এলাকার আবুল হোসাইন পরিচালিত আয়েশা এগ্রো ফার্মে গবাদি পশু কেনা বেচার জন্য ব্যাপক প্রস্তিুতি নিয়েছে। হাটের ঝামেলা এড়িয়ে সুস্থ সবল উন্নত জাতের গরুর কারণে ইতোমধ্যে এই ফার্ম দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এছাড়াও এ ফার্মের গরুগুলো ক্ষতিকারক ক্যামিকেল মুক্ত ও কোনো প্রকার ইনজেকশন প্রদান না করে দেশীয় খাবার খরকুটা, ভূষি, কুরা ও ঘাস খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়ে থাকে। এই কারণে কোরবানীর ঈদে এ ফার্মের গরুগুলোর চাহিদা তুলনামূলকভাবে একটু বেশি।
জানা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারও আশুলিয়ায় কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে অর্গানিক পদ্ধতিতে আবুল হোসাইন পরিচালিত আয়েশা এগ্রো ফার্মে তোলা হয়েছে সঠিক ওজনের নিশ্চয়তা, দামে সাশ্রয়ী, ঝামেলা মুক্ত পরিবেশে ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের উন্নতমানের দেশী- বিদেশী জাতের পাকিস্তানী শাহীওয়াল,হলস্টেইন ফিজিয়ানসহ প্রস্তুত করেছেন ৫০টি গরু। ২লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে ১০লক্ষ টাকার অধিক দামের গরু পাওয়া যাবে এই ফার্মে।
এবছর আয়েশা এগ্রো ফার্মে খামারি আবুল হোসাইন নতুন সংযোজন করেছে মহিষের খামার। নিজের তৈরি করা মহিষের খামারে তৈরি করেছেন মহিষের গোসলের জন্য পুকুর। যারা জায়গার অভাবে পশু কেনার পর ঈদ পর্যন্ত লালন-পালন করতে পারবে না তাদের জন্য এই ফার্মে লালন-পালনের সুযোগ সুবিধাও রয়েছে।
আয়েশা এগ্রো ফার্মে গরু কিনতে আসা ক্রেতা আজীজ বলেন, আমি ও আমার পরিচিতজনরা নিয়মিত এ ফার্ম থেকে কোরবানীর পশু কিনতেছি তাই এবারও আগে ভাগেই কিনতে চলে আসলাম। কারণ এখানে স্বাস্থ্যসম্মত উন্নত জাতের মোটাতাজা গরু পাওয়া যায়। তাই প্রতি বছরই এ ফার্মের গরুর ব্যাপক চাহিদা থাকে।
এব্যাপারে আয়েশা এগ্রো ফার্মের চেয়ারম্যান মো.আবুল হোসাইন বলেন, সার্বক্ষনিক সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে খামার মনিটরিং করে থাকি। কোনো গরু অসুস্থ হলে সাথে সাথেই পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেই। আমাদের ফার্মে কাস্টমারদের কথা বিবেচনা করে কোরবানির জন্য গরু লালনপালন করেছি। ক্রেতার তার সাধ্য অনুযায়ী এই খামারে ছোট থেকে বড় সাইজের গুরু আছে।
এবিষয়ে সাভার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সাজেদুল ইসলাম শিপলু মুঠোফোনে জানান, এবছর সাভার উপজেলায় প্রায়ই সাড়ে ৩ হাজার খামারে ৪০ হাজার গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন।এসব গরু পালনে তাদের কর্মীরা মাঠপর্যায়ে খামারিদের পরামর্শ দিয়েছেন। তারা খামারিদের নিয়ে নিয়মিত উঠান বৈঠক করেছেন। ঈদে নিরাপদ মাংস যাতে মানুষ পায়, সে জন্য আমরা মাঠপর্যায়ে খামারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি।