× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

সাদীর পাঠাগার আঙিনায় বিলম্বে ফুটেছে মে ফ্লাওয়ার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

০৬ জুন ২০২৩, ০৩:৩৭ এএম

‘মে ফ্লাওয়ার’ নাম হলেও সে বিস্ময় নিয়ে বই প্রেমি যুব সংগঠক ও যুব পাঠাগারের উদ্যোক্তা আমিনুল হক সাদীর পাঠাগারের আঙ্গিনায় ফুটেছে বিলম্বে। মে মাসে এর ফোটার কথা থাকলেও অবশেষে ফুটলো জুন মাসে। গত রবিবার (৪ জুন) তার বিলম্বিত প্রস্ফুটিত শোভায় মুগ্ধ ফুল আকৃষ্ট করেছে সকল ফুল প্রমিদের। কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের মহিনন্দ ইউনিয়নের গোয়ালাপাড়ায় অবস্থিত মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পাঠাগারের আঙ্গিনায় রবিবার সকালে হঠাৎ ফুলটি জানান দিলো তার অস্তিত্ব ও সৌন্দর্য্য। প্রকৃতিগত কারণেই হয়তো পিছিয়ে যায় ফুলদের ফোটার পালা। একটি গাছে নির্দিষ্ট সময়ে ফুল ফোটার কথা থাকলেও সে ফুলটি আর যথাসময়ে ফোটেনি। বিলম্বের এই বিষয়টি উপলব্ধি করে ফুলপ্রেমীরা অবাক হয়ে পড়েন!

ফুল প্রেমী সাবেক সেনা সদস্য লায়ন এসএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত ২৭ মে যুব সংগঠক ও যুব পাঠাগারের উদ্যোক্তা বৃক্ষপ্রেমী আমিনুল হক সাদী ভাইয়ের প্রতিষ্ঠিত পাঠাগারে গিয়ে মে ফ্লাওয়ারের কয়েকটি বীজ উপহার দেই এবং নিজ হাতে রোপন করি। আজ সাদী ভাই ফোন করে জানালো আপনার দেওয়া বীজে মে ফ্লাওয়ারে ফুল ফুটেছে। আমি এ কথাটি শুনে আশ্চর্য হয়ে যাই মাত্র কদিনেই জায়গা বদল করে চারাটি রোপন করায় ফুলটা ছোট ও দুর্বল হয়ে ফুটেছে। মে মাসে ফুটার কথা থাকলেও বিলম্বে জুনে ফুটলো।

মহিনন্দের শৌখিন ফুলপ্রেমী আমিনুল হক সাদী বলেন, ‘এবারই দেখলাম মে ফ্লাওয়ার অল্প সময়ে ফুটলো। যদিও তা বছরে একবার ফুটে। আমি তো ধরেই নিয়েছিলাম জাহাঙ্গীর ভাইয়ের দেওয়া মে ফ্লাওয়ারের বীজ বোধহয় মাটির নীচে লুকিয়ে রয়েছে। কারণ এই গাছটি কন্দ থেকে হয় বলে মাটির গর্ত দেখে চেনার উপায় নাই যে এটি মে ফ্লাওয়ারের গাছ। তাই মনে হলো- শখের ফুলের এই বীজটি হারিয়ে ফেলেছি। কিন্তু না! হঠাৎ জুনের প্রথমে আজ রবিবার সকালে দেখি উঁকি দিল সে! একটু একটু করে তার বেড়ে উঠা। সবশেষে লালবৃত্তময় সৌন্দর্য।’

ফুলটির শোভা প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, এই ফুলটি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এবং দুর্লভ। ফুল গন্ধহীন। ফুটন্ত ফুল দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। পাপড়ি ও পুংকেশর অসমান হলেও অপূর্ব। উজ্জ্বল লাল রঙের মাঝে হলুদ-সাদা আভার মিশ্রণে গোলাকার বল আকৃতির ফুল ফোটে। এ ফুলটি অনেকটা কদম ফুলের মতো। তবে আকারে আরও বড় হয়। এটি অল্প সময়ের ফলে ছোট হয়েছে। ফুলটি যে কারও মন জয় করতে পারে। প্রায় দুই-তিন সপ্তাহ ফুলটি স্থায়ী থাকে।

ফুলপরবর্তী গাছ সম্পর্কে এই শৌখিন ফুলপ্রেমী জানান, ফুল ঝরে পড়ার পর পাতার সৌন্দর্য আরও কিছুদিন উপভোগ করা যায়। পাতাগুলো তখন আরও বেশি চকচকে হয়ে উঠে। ফুলের পরেই মাটির নিচ থেকে ৬ থেকে ৮টি বড় বড় পাতা বের হয়। প্রতিটি পাতার দৈর্ঘ্য ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ১২ থেকে ১৪ সেন্টিমিটার হয়। আরেকটি মজার ব্যাপার হলো- বছরে মাত্র একবার ফোটা এ বৃত্তাকার ফুলটিকে দূর থেকে দেখতে কাঁটাযুক্ত মনে হয়। আসলে একটি কাটাও নেই। আপনি যদি ফুলের পাপড়িগুলোতে স্পর্শ করেন তখন আপনার মনের মাঝে নরম-কোমল অনুভূতি হবে। আপনার আঙুলের ডগায় উঠে আসবে হালকা হলুদ রং। এগুলো পুষ্পরেণু।

ফুল গবেষকরা জানিয়েছে মূলত সুদূর আফ্রিকাতে মে ফ্লাওয়ারের আদি নিবাস। এর বিস্তৃতি রয়েছে পূর্ব ভারত, মিয়ানমার ও ইন্দোনেশিয়াতে। আমাদের দেশের পরিবেশের সঙ্গে ফুলটি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে বেশ। ফুলপ্রেমীরা তাই বাগানে, বারান্দার টবে, ছাদ বাগানে মে ফ্লাওয়ারের গাছ লাগিয়ে এর বার্ষিক শোভা মাত্র একবার উপভোগ করার সুযোগ পান। বাগানের শোভা বৃদ্ধি করা মে ফ্লাওয়ার। ফুল শেষে গাছে ফল ধরে। ফল গোলাকার থেকে লম্বা। রং গাঢ়-ধূসর ও শক্ত। কন্দ ও বীজের মাধ্যমে এই ফুলের বংশবিস্তার ঘটে। ফুলের ডাটা ও গাছের গড় উচ্চতা প্রায় ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। 



Sangbad Sarabela

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । 01894-944220 । [email protected], বিজ্ঞাপন: 01894-944204

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2024 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.