এক লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের মামলায় তিনজন রোহিঙ্গার প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে দণ্ডিত আসামিদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল রোববার ১৯ মার্চ এ রায় ঘোষণা করেন। একই কার্যালয়ের জেলা নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলো মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার সুধাপাড়া গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে মো. ইউনুস, আবু শামার ছেলে নুরুল হক এবং মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. আনোয়ার। দণ্ডিত সকল আসামি পলাতক রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে একই আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ এবং আসামীদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হোসেন আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন।
আসামিদের ধৃত করা সাপেক্ষে প্রদত্ত সাজা ভোগ শেষ হলে আইনানুগ ব্যবস্থায় তাদের মিয়ানমারে পুশব্যাক করার জন্য বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল কক্সবাজারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে রায়ে নির্দেশ দিয়েছেন।
রায় ঘোষণার দিনে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৫ ধারা সহ ১৯ (১) ধারার ৯(খ) সারণী মতে দোষী সাব্যস্থ করে আসামী ৩ রোহিঙ্গাকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডিতদের প্রত্যককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। রায়ে উদ্ধারকৃত ইঞ্জিন চালিত বোটটি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।