গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের শাখাহার ইউনিয়নের দেওনালা গ্রামের ১ নং খাস খতিয়ানের প্রায় ৪৮ বিঘা জমি জোরপূর্বক ব্যবহার করছে কিছু অসাধু ভূমিদস্যু। ৮টি পুকুর, খাল, ডোবা, ভিটা, বাড়ি, দলা, ডাঙ্গার জমি জবর দখল করে ব্যবহার করছে মাজেম মণ্ডল, জয়নাল মণ্ডল ও ছলিমদ্দিন শেখ গং।
দেওনালা মৌজার জেএল ২৭ এ অন্তভুক্ত ১৫ একর ৯৭ শতক জমি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে গাইবান্ধা জেলা প্রসাশক বরাবর সংশোধিত প্রিন্ট পর্চায় উক্ত জমির সকল দাগ নং উল্লেখ আছে। যা বাংলাদেশ সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের অন্তভুক্ত।
দেওনালা গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে বেলাল হোসেন (৬৭) বলেন, আমরা কয়েক বছর আগে এ জমিগুলো গ্রামের সবাই মিলে ব্যবহার করতাম। মাজেম মন্ডল, জয়নাল মন্ডল ও ছলিমদ্দিন শেখ গংরা ততকালীন সময় দেওনালা গ্রামের শালিস দরবার করতো এবং তাদের পেশি শক্তির কাছে গ্রামের লোকজন অসহায় তাই তারা ভূয়া দলিল দেখিয়ে এযাবত জমি ভোগ করছে।
একই গ্রামের মোতালেব মিয়ার ছেলে বাচ্চা মিয়া (৬০) বলেন, তাদের দেখানো দলিল যে ভুয়া তা বর্তমান প্রিন্ট পর্চায় প্রমাণ হয়েছে।
দেওনালা গ্রামের কাদের মন্ডলের ছেলে সোবাহান মন্ডল বলেন,সরকারী এ সম্পত্তি গুলো উদ্ধার করে লীজ দিলেও সরকারের অনেক রাজস্ব আদায় হবে। এই খতিয়ানে ৮টি পুকুর আছে এগুলো জলমহল হিসাবে ঘোষণা করা যাবে।
ভূমিদস্যু মাজেম মন্ডল,জয়নাল মন্ডল ও ছলিমদ্দিন শেখ গং এর ছেলেদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তারা সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রসাশক অলিউর রহমান বলেন, সরকারি জমি কেউ যদি অবৈধ ভাবে দখল করে থাকে তাহলে সেগুলো উদ্ধার পূর্বক প্রয়জনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন বলেন, সরকারি খাস জমি কেউ অবৈধ ভাবে দখল করে থাকলে দখল মুক্ত করার জন্য প্রযোজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং উদ্ধার পূর্বক সরকারি মালিকানায় আনা হবে।