শিবচর পৌর বাজারের টি এন্ড টি মোড়ে সন্ধ্যা নামতেই বসে ভ্রাম্যমাণ বাহারি ফাস্ট ফুডের দোকান। কাঁচঘেরা ছোট্ট ‘স্ট্রিট ফুড’ দোকানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবেই পরিবেশন করা হয় খাবার।
যে কোনো রেস্টুরেন্ট থেকে অনেক কম দামে চোখের সামনে তৈরি করা মজাদার হরেক রকম খাবার মন কাড়ে ভোজন রসিকদের। অপরদিকে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরাও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
কেউ দাঁড়িয়ে কেউবা বসে খাবার খাচ্ছেন, কেউবা আবার অপেক্ষায়। কি নেই এসব স্ট্রিট ফুডশপে। এছাড়া কম দামে পাওয়া যায় বলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ক্রেতা।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রায় দিন বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে এখানে চলে আসি। এখানে ফারুক ভাইয়ের মোমো বেশ মজাদার, দামও নাগালের মধ্যে।
স্ট্রিট ফুড ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন জানান, প্রতিদিন বিকেল ৫ টা থেকে রাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। এখন দুই জন স্টাফ নিয়ে ভালোই চলছে তার ভাসমান স্ট্রিট ফুড ব্যবসা। খাবার পণ্য ক্রয় ও স্টাফদের হাজিরা দিয়ে ১৫ থেকে ১৬শো’ টাকার মত আয় হয়।
স্ট্রিট ফুড বা রাস্তার খাবার হিসেবে একদিকে সুস্বাদু, সহজলভ্য ও সস্তা হওয়ার কারণে ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে এসব খাবারের। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এইসব স্ট্রীটফুডের দোকান গুলোতে লেগে থাকে উপচে পড়া ভিড়।
বিপদজনক জেনেও এসব দোকানগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে খাবার প্রিয় মানুষের সংখ্যা। ফার্স্টফুডের জন্যই তারা এখন বেছে নিচ্ছেন সড়কের পাশের ভাসমান অস্থায়ী দোকানগুলো।