মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের রাজপথে যে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু হয়েছিল, তার ব্যতিক্রম ঘটেনি ধান-নদী-খালের শহর বরিশালেও। রাষ্ট্রভাষার জন্য গঠিত কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদের ২৮ সদস্যের মধ্যে আহ্বায়কসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি পদে নেতৃত্ব দেন বরিশালের সন্তানরা। তারা হলেন- আহ্বায়ক বরিশালের গৌরনদীর কাজী গোলাম মাহবুব, গাভার মুজিবুল হক ভিপি, ভোলার দৌলতখার শামসুল আলম ভিপি, পিরোজপুরের শামসুল হক চৌধুরী, আখতার উদ্দীন আহমদ নিখিল। এছাড়াও বরিশালের আব্দুর রহমান চৌধুরী,আখতার উদ্দিন আহমেদ, এম ডব্লিউ লকিতুল্লাহ, অনিল দাস চৌধুরীসহ উল্লেখযোগ্য আরও কয়েকজন রয়েছেন যারা জাতীয়ভাবে আলোচিত এবং সর্বজন শ্রদ্ধেও।
ভাষার মাস আসলেই যে গানটি প্রতিটি বাঙালি বুকে ধারন করে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ সেই গানের রচিয়তা তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের ছাত্র আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীও বরিশালের কৃতী সন্তান। একই সাথে প্রথম সুরকার আব্দুল লতিফ, পরবর্তী ও বর্তমান সুরকার আলতাফ মাহমুদ (শহীদ)। আবার আব্দুল লতিফের ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়’ বিখ্যাত এই গান, কিংবদন্তির কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘মাগো ওরা বলে’ কবিতায় ফুটে ওঠা মায়ের ভাষার প্রতি হৃদয়স্পর্শী আবেগ আর অনুভূতির কবি ও গীতিকার তাদেরও জন্ম বরিশালের মাটিতে।
শুধু তাই নয়, একুশে ফেব্রুয়ারির সাংস্কৃতিক চেতনাকে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন বরিশালের কবি সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিল্পীরা। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে যেসব গান-কবিতা সারাদেশে এমনকি সমগ্র বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তার অধিকাংশরই বরিশালের সন্তান। ইতিহাসবিদ সিরাজ উদ্দীন আহমেদের লেখনীতে ফুটে উঠেছে ভাষাসংগ্রামের নানা ইতিহাস। বাংলা ভাষার প্রথম কবি মীননাথ বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন।
সূত্র মতে, ১৯৪৮ সালে বাংলা ভাষাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার জন্য আন্দোলন শুরু হয়। ওই বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রশীদ বিল্ডিংয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় ফজলুল হক হলের ছাত্র ভোলার শামসুল আলমকে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক করা হয়।
সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা ছিলেন বরিশালের আবদুর রহমান চৌধুরী (বিচারপতি)। তিনি তখন সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সহ-সভাপতি ছিলেন। একই দিনে বরিশাল মুসলিম ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এক জনসভার আয়োজন করে মুসলিম ছাত্রলীগ। ছদরুদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভায় বক্তব্য রাখেন- আখতারুদ্দিন আহমদ, এস ডব্লিউ লকিতুল্লাহ, অনিল দাস চৌধুরী।
সন্ধ্যায় এক শোভাযাত্রা শহর প্রদক্ষিণ করে। বি এম কলেজেও ওই দিন ছাত্রদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা হয়। অশ্বিনী কুমার হলে আর একটি সভায় সভাপতিত্ব করেন হাশেম আলী। সভায় রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি করা হয়। ১৯৪৮ সালে ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষার দাবিতে প্রদেশব্যাপী হরতাল পালিত হয় এবং সচিবালয় ঘেরাও করা হয়। পুলিশ শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বরিশালের কাজী গোলাম মাহবুব ও সরদার ফজলুল করিমকে গ্রেফতার করে।
ঢাকার সংগ্রাম কমিটির আহ্বানে ওই দিন বরিশালের স্কুল-কলেজেও ধর্মঘট পালিত হয়। বরিশাল মুসলিম ছাত্রলীগ এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়। ছাত্র ফেডারেশন তাদের সমর্থন দেয়। ছাত্রলীগের কাজী বাহাউদ্দীন আহমেদ আটচল্লিশের ভাষা আন্দোলনে বরিশালের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
১১ মার্চ হরতালের পর সভা করার জন্য কোথাও জায়গা পাওয়া যায়নি। তখন বরিশাল শহরে ফকির বাড়ি রাস্তার পাশে সদর রোড দীপালি (বর্তমানে অভিরুচি) সিনেমা হলের সামনে এবং আর্য্যলক্ষ্মী সংলগ্ন কচুখেতে সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কাজী বাহাউদ্দীন আহমেদ এবং বক্তব্য রাখেন ভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শামসুল হক চৌধুরী, এবিএম আবদুল লতিফ,মোহাম্মদ আর্শেদ,মোখলেছুর রহমান, আশরাফ আলী খান ও হাসান ইমাম চৌধুরী প্রমুখ।
ওই দিন সন্ধ্যার পর পুলিশ কাজী বাহাউদ্দীন আহমেদ, শামসুল হক চৌধুরী, আব্দুর রশিদ, মোহাম্মদ আর্শেদ ও এ বিএম আশরাফ আলী খান এবং শেখ মালেককে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়। এই গ্রেফতারের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ছাত্র-জনতা থানা ঘেরাও করে ফেলে। পরে বাধ্য হয়ে প্রশাসন বন্দিদের মুক্তি দেয় পুলিশ।
১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঢাকার এক জনসভায় উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা করলে প্রতিবাদে বিভিন্ন দলসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয় ‘রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদ’। ২৮ সদস্য বিশিষ্ট এই কর্মপরিষদের পাঁচজন ছিলেন বৃহত্তর বরিশাল জেলার। প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের ঘোষণার উত্তাপ বরিশালেও অনুভূত হয়।
কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা কর্মপরিষদের আহ্বানে বরিশালে ‘২১ ফেব্রুয়ারি’ পালনের প্রস্তুতি চলে। আওয়ামী মুসলিম লীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে অর্থ সংগ্রহের জন্য ‘পতাকা দিবস’ পালন শুরু হয়। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ এ নামে পতাকা ও ব্যাজ বিতরণ এবং পোস্টারিং চলতে থাকে। কর্মীরা টিনের চোঙা নিয়ে রাস্তায় প্রচারকাজ চালায়। এই চোঙা ফুকানোর অন্যতম নায়ক ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নিখিল সেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি আবদুল মালেক খানকে সভাপতি এবং যুবলীগের সম্পাদক আবুল হাশেমকে আহ্বায়ক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট ‘বরিশাল রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করা হয়। বরিশাল যুবলীগের সভাপতি আলী আশরাফ ছিলেন সংগ্রাম পরিষদের অবিসংবাদিত নেতা। বরিশালে ভাষা আন্দোলনের ক্ষেত্রে বিএম কলেজের ছাত্ররা ছিলেন মূল চালিকাশক্তি। তারা পৃথক ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করেন। এর আহ্বায়ক ছিলেন ছাত্রলীগ সভাপতি এবং বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া। সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলেন একেএম বেলায়েত হোসেন, মতিউর রহমান, গোলাম রব্বানী, রফিকুল ইসলাম (১৯৭১ সালে শহীদ হন), সিদ্দিকুর রহমান, মোহাম্মদ ইউসুফ কালু, কলেজ সংসদের সম্পাদক আবদুস সাত্তার, সমীর পাল, জসিম বিশ্বাস এবং সরদার গোলাম কুদ্দুস প্রমুখ।
২১ ফেব্রুয়ারি বৃহত্তর বরিশালের সব বিদ্যালয় ও শহরে হরতাল পালিত হয়। মিছিল বরিশাল শহর প্রদক্ষিণ করে। ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্র হত্যার সংবাদ বরিশালে পৌঁছালে একজন পুলিশ সদস্য রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদকে তা জানান। ফলে পরিষদের উদ্যোগে রাত ৯টায় শহরে মিছিল বের হয়। ওই রাতেই সার্কিট হাউসের কাছে অবস্থিত বরিশাল মুসলিম ইনস্টিটিউটে সংগ্রাম পরিষদের সভা বসে এবং পরে কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়। সভায় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সংখ্যা ২৫ থেকে ৮১ জনে উন্নীত করা হয়। বরিশাল সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’র অন্তর্ভুক্ত যারা ছিলেন তাদের কয়েকজন হলেন- আবদুল মালেক খান, আবুল হাশেম, আলী আশরাফ, আবদুল আজিজ তালুকদার, অ্যাডভোকেট আবদুর রব সেরনিয়াবাত, প্রাণ কুমার সেন, জাহিদ হোসেন জাহাঙ্গীর, আবদুল করিম, সিরাজুল হক ভূঁইয়া, উকিল ওবায়দুল হক, উকিল আমিনুল হক চৌধুরী, ডা: হাবিবুর রহমান, নিখিল সেন, ইমাদুল্লাহ, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, মিসেস হামিদ উদ্দিন, মোশারেফ হোসেন মোচন, আলতাফ মাহমুদ (শহীদ), মোহাম্মদ হোসেন আলী, সরদার গোলাম কুদ্দুস, সৈয়দ আজিজুল হক শাহজাহান, সুনীল গুপ্ত, মোহাম্মদ ইউসুফ কালু, সাধন রায় চৌধুরী, সুলতান মিয়া, নূরুল ইসলাম মঞ্জুর, মুজিবুর রহমান কাঞ্চন (শহীদ), নসরুল্লাহ খসরু, আবদুস সাত্তার, বরুণ বর্মণ, হাজী আবদুল লতিফ খান প্রমূখ।
২১ ফেব্রুয়ারি সারারাতেই ছাত্রদের প্রচারকাজ চলে। ঢাকায় ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে ২২ ফেব্রুয়ারি বরিশালে হরতাল ও মিছিল হয়। অন্যান্য জায়গার মতো বরিশালেও আন্দোলনকে সংগঠিত করার পেছনে চালিকাশক্তি ছিল ছাত্রসমাজ। ক্লাস বর্জন করে প্রায় ৫০০ ছাত্রের এক মিছিল বেরিয়ে পড়ে বরিশাল এ কে স্কুল থেকে। এর সংগঠক হিসেবে ছিলেন স্কুলের জেনারেল ক্যাপ্টেন এ কে এম আজহার উদ্দিন। এ ছাড়া নবম শ্রেণির ক্লাস ক্যাপ্টেন এ বারেক খলিফা, মীর আশ্রাফ উদ্দিন প্রমুখ আন্দোলন সংঘটনে ভূমিকা রাখেন। এ কে স্কুল ময়দানে ভাষা শহীদদের গায়েবানা নামাজে জানাজা পড়ান মৌলভী সুলতান আহমেদ। জানাজা শেষে ছাত্র-জনতা শহর প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে সমবেত হন। সেখানে এ কে এম আজহার উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
২২ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা থেকে স্টিমারে আগত সৈয়দ শামসুল হুদা একটি টেলিগ্রাম সংবাদপত্র নিয়ে আসেন, যাতে ঢাকায় ছাত্র হত্যার সংবাদ ছিল। অশ্বিনী কুমার হলের সামনে ভোর থেকে ছাত্র-জনতার স্রোত নামে। গ্রাম থেকে আসা জনতা ছাড়াও শহরের শত শত মহিলা মিসেস হামিদ উদ্দিনের (আওয়ামী লীগ এমপিএ) নেতৃত্বে প্রথম শোভাযাত্রা করেন। বরিশালের অন্যান্য মহিলা ভাষাসৈনিক হলেন হোসনে আরা নিরু, মঞ্জুশ্রী, মাহে নূর বেগম, রানী ভট্টাচার্য প্রমুখ। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন মেয়েরা, তার পরে সংগ্রাম পরিষদের নেতারা। স্মরণকালের বৃহত্তম মৌন মিছিল অশ্বিনী কুমার হল থেকে শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে সার্কিট হাউস ময়দানে গিয়ে শেষ হয়। অবিভক্ত বাংলার মন্ত্রী খান বাহাদুর হাশেম আলী, অ্যাডভোকেট শামসের আলী প্রমুখ নগ্নপদে মৌন মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। ওই দিন অনেক মুসলিম লীগ নেতাকর্মী দল ত্যাগ করেন। সংগ্রামী জনতার এক জনসভা ওই দিন বিকেল ৩টায় অশ্বিনী কুমার হলে অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় এ কে স্কুল মাঠে শহীদ ছাত্রদের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
২৪ ফেব্রুয়ারি অশ্বিনী কুমার হলের সামনে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। এক্ষেত্রে অগ্রণী ছিলেন আবুল হাশেম, জাহিদ হোসেন জাহাঙ্গীর, চক বাজারের সুলতান, মোশারেফ হোসেন নান্নু, আলী আশরাফ এবং মোশারেফ হোসেন মোচন প্রমুখ।
এদিন শহীদ মিনারে শোকের প্রতীক কালো পতাকা এবং সংগ্রামের প্রতীক লাল পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর আগে মোহাম্মদ সুলতান তার দোকানের ১০ গজ সাদা কাপড় দিয়ে শহীদ মিনার মুড়ে দেন। পুষ্পস্তবক দিয়ে আবুল হাশেম শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন।
অবশ্যই ২৭ তারিখ রাতের অন্ধকারে সরকারি নির্দেশে পুলিশ শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলে। বরিশাল শহরের বাইরেও অনেক স্থানে বিক্ষোভ মিছিল হয়। তার মধ্যে বানারীপাড়া উল্লেখযোগ্য। ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার ঢাকায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনকারীদের অনেই ছিলেন বৃহত্তর বরিশালের সন্তান।
বরিশালের গৌরব শের-ই বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯৫৪ সালে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে একুশে ফেব্রুয়ারিকে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন এবং শহীদ মিনার নির্মাণ ও বাংলা ভাষাকে ‘রাষ্ট্রভাষা’ করার প্রস্তাব অনুমোদন করেন। বরিশালের সন্তান সৈয়দ আজিজুল হক নান্না মিয়া শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে এসব গৃহীত প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
তবে ভাষা আন্দোলনে জাতীয়ভাবে আলোচিত বরিশালের এই কৃতী সন্তানদে স্মরণে কোনো আয়োজন নেই এই অঞ্চলে। ভাষা আন্দোলনে শহীদদের নাম ছাড়া তরুণ প্রজন্ম জানেই না মাতৃভাষা আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা বরিশালের অবদানের কথা।
ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা মনে করেন, রাষ্ট্রের উদাসীনতার কারণে স্মৃতির আড়ালে চলে যাচ্ছেন জাতিগত মুক্তির সেইসব স্বপ্নদ্রষ্টারা। এ জন্য তরুণ প্রজন্মের যেমন অসচেতনতা রয়েছে তেমনি দায়ী উত্তর প্রজন্মও। এভাবে চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস কংক্রিটে নির্মিত শহীদ মিনারে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়বে বলেও উদ্বেগ বিশিষ্ট নাগরিকদের। তারা মনে করেন, কংক্রিটে নির্মিত মিনারের চেয়ে মননে নির্মিত শহীদ মিনার দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ভাষা সংগ্রামী, প্রেক্ষাপট ও এর সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh