পটুয়াখালীতে শীত পড়তে শুরু করেছে সকাল ও সন্ধ্যায় শীত অনুভূত হচ্ছে,শীতের আগমনে পটুয়াখালী লঞ্চ ঘাটের পাশে একটি অস্থায়ী শীতবস্ত্র মার্কেটে বেচা-কেনা শুরু হয়েছে শীতের কাপড়। দেইখ্যা লন, বাইছ্যা লন, একটা কিনলে আরেকটা ফ্রি, এভাবেই শীতের কাপড় বিক্রি করছেন শীতবস্ত্র দোকান ব্যবসায়ীরা।
পটুয়াখালীর নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা লঞ্চ ঘাটের পাশে বসা অর্থাৎ হকারদের বিক্রি করা পুরাতন গরম কাপড়।
সরেজমিনে দেখা যায়, এই পুরাতন কাপড়ের মার্কেটে নানা বয়সী মানুষের ভীড় রয়েছে।বিক্রেতারা ক্রেতাদের দেখলেই করছেন হাঁকডাক।
ক্রেতা আলমগীর বলেন, অন্যবারের তুলনায় এবারের বছরে দাম কিছুটা বেশি।পরিবারের জন্য কিছু কাপড় কিনতে এসেছি কিন্তু দাম বেশি হওয়ার কারণে কয়েকটা দোকানে ঘুরে ঘুরে দেখতে হচ্ছে।
গৃহিণী শাহনাজ বলেন, আমরা গরিব মানুষ দিন আনি দিন খাই, অভাবের সংসার দামি শীতের কাপড় সন্তানদের কিনে দেওয়ার সামর্থ্য নেই। তাই পুরাতন কাপড় কিনতে এসেছি কম দামের কয়েকটা কাপড় কিনেছি আরও কয়েকটা কিনবো।
মার্কেটের পুরাতন কাপড় ব্যবসায়ী পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, আমার দোকানে সর্বনিন্ম ১০০ টাকা ও সর্বোচ্চ ১০০০ টাকার কাপড় আছে যা পছন্দ মতো কাপড় কিনে নিয়ে যাচ্ছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা। বেল্টের দাম বেশি হওয়ায় এবারে লাভের আশা নিয়ে শঙ্কায় আছি তবে প্রতিদিন ৩০০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা বিক্রি করা হয়।
বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ৬ বছর ধরে এই পুরাতন কাপড় বিক্রি করি।দিনে ২০০০ টাকা বিক্রি করতে পারি আরও একটু শীত বেশি হলে আরও বেশি বিক্রি করতে পারব।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা গার্মেন্টস মালিক সমিতির সভাপতি ও সিমা গার্মেন্টস এর মালিক আলহাজ্ব মোঃ হেমায়েত উদ্দিন বলেন, আমাদের পটুয়াখালী জেলা শহরে শীতটা বর্তমানে একটু কম। এজন্য ব্যবসার অবস্থা খাড়াপ তবে যদি শীত বেশি পরে তাহলে ভারি মালামাল তুলবো। এখন নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আমরা লঞ্চঘাটের পাশে একটি শীতবস্ত্রের মার্কেট খুলেছি সেখানে টুকটাক ব্যাবসা হচ্ছে শীত আরো পড়লে ব্যবসা ও বেচাকেনা ভাল হবে।
জেলা হকার্স কমিটির গত বছরের তুলনায় প্রতিটি বেল্টে তাদের চলতি বছরে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন হাজার টাকা।এই অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার পরও তাদের কিনতে হচ্ছে নিম্নমানের বেল্ট যা বিক্রি করে মূলধন আর যাতায়াতের খরচই উঠানো কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।