হঠাৎ করেই ঢাকার আশুলিয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। পৌষের কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ। ঘন কুয়াশায় সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। মহাসড়কের দূরপাল্লার যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। সকালে দৃষ্টিসীমা ১০০ মিটারের নিচে নেমে আসায় সকালে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতেও দেখা গেছে।
ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত। বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ঘড়ির কাঁটায় দুপুর ১২টা অতিক্রম করলেও সূর্যের দেখা মেলেনি আকাশে।
ঘর থেকে বেরোলেই শরীরে কাঁপন ধরায়। শীত ও ঘন কুয়াশায় কাবু জনজীবন। হাড় কাঁপানো শীতের আক্রমণে নাগরিকরা রীতিমতো কষ্টে আছে। গায়ে গরম কাপড় ও টুপি পরে তারা শীতের দাপট থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করে। আশুলিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ফুটওভার ব্রিজের নিচে ছিন্নমূল মানুষ কাগজ-খড়কুটো পুড়িয়ে একটু উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি বইছে হিমেল হাওয়া। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে জনপদ। বিভিন্নস্থানে আগুন জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছেন অনেকে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষেরা। তারপরেও জীবিকার তাগিদে হাড় কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে খুব সকালে কাজের সন্ধানে রাস্তায় বের হচ্ছেন খেটে খাওয়া মানুষ। হাসপাতালে বাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। ফসলের বীজতলা ঠিকমতো পরিচর্যা করতে না পারা ও কুয়াশায় চারা নষ্ট হওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন বিপদে।
ডেন্ডাবর এলাকার বাসিন্দা তাজুল ইসলাম বলেন, কন কনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় কারণে ঘর থেকে বের হওয়াই দায়।দোকানে বর্তমান বেচা-কেনা নাই।শীতের কারনে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা আর দোকানে আসে না।তাই দোকানে বিক্রি একেবারেই কম হচ্ছে।
পল্লীবিদুৎ এলাকার রিকশাচালক রিপন মিয়া বলেন, হিমেল হাওয়ায় রিক্সা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতের কারণে অনেকেই বাসা থেকে বের হচ্ছে না। এজন্য আমাদের আয় অনেক কমে গেছে।
কাঠগড়ার কৃষক হানিফ বেপারি বলেন, তীব্র শীতের কারণে আমরা জমিতে যেতে পারছি না। বর্তমানে ইরি ধানের সময়, কাজের অনেক চাপ। তারপরেও আমরা শীতের কারণে জমিতে যেতে পারছি না। এদিকে শীতের কারণে শ্রমিকও পাচ্ছি না।