মাদারীপুরের পুরান বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচটি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শহরের পুরান বাজার কাচামাল পট্রি এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রায় চার কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাঁচামাল পট্রি সড়কের খান স্টোর নামের একটি দোকানে প্রথমে স্থানীয়রা আগুন দেখতে পান। এ সময় তাঁরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও মুহূর্তের মধ্যেই আগুন পাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের খবর দেয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট কিছুক্ষন চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে আইয়ুব চোকদারের সুপারির আরৎ, ইমান খানের কসমেটিক স্টোর, প্রদীপ দত্তের মুদি দোকান, ছিদ্দিক বেপারীরর সারের দোকান।
প্রত্যক্ষদর্শী প্রদীপ কুন্ড বলেন,ইমান খানের মুদি দোকানের ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখেই তিনি পুলিশকে খবর করেছিলেন। ইলেকট্রনিক্স সার্কিট শর্ট হওয়ার কারণে আগুন লেগেছিল, তাতে সেখানকার সব দোকানপাট পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তবে স্থানীয় লোকজনের পরিশ্রম ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন বেশি ছড়াতে পারেনি।
পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীব মাহামুদ কাওসার বলেন, আগুন ধরেছে এ আগুন আর কিছু সময় স্থায়ী হলে আরো অনেক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যেত। আগুনে পাঁচটি দোকানে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে, মালামাল সব পুড়ে গেছে।
অখিল মন্ডল বলেন, খান স্টোর থেকে যেভাবে আগুন লেগেছিল।তার পাশেই কীটনাশক এর দোকান ছিল। তাৎক্ষণিক যদি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা না আসতো তাহলে অনেক দোকান পাত পুরে যেতো।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারেরা বলেন,হঠাৎ কোথা থেকে আগুন লেগেছে বুঝতে পারতেছি না। এই আগুনে আমাদের ৪কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক মোঃ নুরুল ইসলাম শিকদার,বলেন, আগুনের খবর পাওয়ার পরপরই মাদারীপুরের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই খান স্টোরে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এতে ব্যবসায়ীদের অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন,আগুন ধরা পড়ে স্থানীয়রা খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের লোক গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।