বাউফলে হাসপাতালে ঢুকে মা ও ছেলের উপর হামলা করেছে কিশোর গাংয়ের কয়েক সদস্যরা। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় বুধবার (৩০ নভেম্বর) বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
জানা গেছে, আব্বাস (১৭) নামের এক কিশোরকে আহত অবস্থায় ওই দিন বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন রাতে ইমরানের নেতৃত্বে কিশোর গাংয়ের ৮-১০ জনসদস্য হাসপাতালে ঢুকে আব্বাসকে বেধরক মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে আব্বাসের মা রাজিয়া বেগম (৪৫) ছেে কে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করা হয়। তখন হাসপাতালে ভর্তি অন্যান্য রোগীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। এসময় কিশোর গাংয়ের ইমরান নামের এক সদস্য আব্বাসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তোরে না হাসপাতালে আসতে নিষেধ করছি।’ আব্বাসকে আরেকদফা মারধর করে।
আব্বাস হোসেন বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকালে আমার মা আমাকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে কালিশুরি পাঠিছিলো পাওনাদাকে দেয়ার জন্য । আমি বাড়ি থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যার পর নুরাইনপুর বাজারে এসে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তখন ইমরান,বায়জিদ,ইমনসহ কয়েকজন আমাকে নুরাইনপুর ব্রীজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে তারা মারধর করে এবং সাথে থাকা টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং হুমকি দেয় পুলিশকে জানালে আবার মারধর করা হবে। আমি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলে রাতে ৮-১০ জন এসে আমার উপর হামলা করে। আমাকে ও মাকে মারধর করে। দিয়েছিলো হাসপাতালে না যেতে এবং পুলিশকে না জানাতে তারপর আমি হাসপাতাল এ ভর্তি হলে হাসপাতালে এসে আমাকে ও আমার মায়ের উপর হামলা করে ।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, ‘ বিষয়টি আমি শুনে বাউফল থানায় অবহিত করেছি।’
এ ঘটনায় জড়িত কিশোর গাংয়ের কোন সদস্যর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল মামুন বলেন, ‘রাতে ঘটনার পর হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’