ঈশ্বরদী উপজেলার ৩৭ কৃষক জামিনে মুক্তির পর পাবনার বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের কাছে ঋণ মওকুফ ও মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।
বুধবার (৩০ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভাড়ইমারি উত্তরপাড়া সবজিচাষি সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউপি সদস্য বিলকিস নাহার। বিলকিস নাহার জানান, মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে পাবনা পৌর শহরের এলএমবি মার্কেটে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকে হাজির হয়ে ৩৭ কৃষকের পক্ষে এ আবেদন করেন তিনি।
আবেদনে বলা হয়েছে, ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া সবজিচাষি সমিতির নামে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক থেকে ১৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ৪০ জন কৃষক। ঋণগ্রহীতারা সবাই দরিদ্র কৃষক। ৪০ জনের মধ্যে সুদসহ ১৩ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। এরপরও ৪০ জন কৃষকের মধ্যে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে ঋণ ও সুদের মামলা হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে এসব কৃষকের সবাই ক্ষতিগ্রস্থ। ঋণ ও ঋণের সুদের টাকা তাদের পক্ষে পরিশোধ করা এবং মামলা চালানোও সম্ভব নয়। এ কারণে কৃষকরা ঋণ মওকুফ ও মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
ইউপি সদস্য বিলকিস নাহার বলেন, আমি নিজেও ঋণের মামলার আসামি। মামলায় অভিযুক্ত কৃষকরা সবাই হতদরিদ্র। অন্যের জমি ইজারা ও লিজ নিয়ে চাষাবাদ করে এদের জীবন চলে। এসব প্রান্তিক কৃষকদের পক্ষে ব্যাংকের বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব নয়। তাই ঋণ মওকুফ ও মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেছি। সোমবার ব্যাংক থেকে লোক আসবে। পুরোনো কাগজপত্র অনেকেরই নেই। ফলে ঋণ পরিশোধ করেও দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা।
বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক পাবনা শাখা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক কাজী জসিম উদ্দীন বলেন, পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী ৩৭ কৃষক ঋণ খেলাপি হন। পরবর্তীতে মামলা হয়। আজ কৃষকদের ঋণ মওকুফ ও মামলা প্রত্যাহারের আবেদনপত্রটি পেয়েছি। এটি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।