সাতক্ষীরার দেবহাটায় অভিযান চালিয়ে একটি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, সাত রাউন্ড গুলি, একাধিক ধারালো রামদা সহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবহাটা থানার ওসি শেখ ওবায়দুল্যাহর নেতৃত্বে এস,আই হাফিজুর রহমান, এ,এস,আই হুমায়ুন কবির সহ পুলিশের একটি দল উপজেলার দেবীশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নোড়ারচকের ওমর আলী গাজীর ছেলে শরিফুল গাজী (৩৫), খলিশাখালির মৃত আবু বকরের ছেলে কামরুল গাজী (৫০) এবং ভাঙ্গানমারির মৃত আনছার আলীর ছেলে মুরশিদ আলী সরদার (৫০)।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি রাইফেল, সাত রাউন্ড গুলি, ধারালো রামদা, চাইনিজ কুড়াল ও লাঠি সহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত নানা সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় নোড়ারচকের মৃত আকরাম গাজীর ছেলে মুজাহিদ (২৭), নাংলার আয়ুব আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে কালু (৪০), একই গ্রামের মৃত কালু হাজীর ছেলে আব্দুল গফুর ওরফে গফুর মাস্তান (৫৭), বাবুরাবাদের রুহুল আমিনের ছেলে আকরাম হোসেন ওরফে আকরাম ডাকাত (৪৭) সহ সংঘবদ্ধ এ ডাকাত দলের আরও ৫/৬ জন অস্ত্রধারী।
এঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত তিন জন সহ ৬ জনকে এজাহারনামীয় এবং আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে দেবহাটা থানায় দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার জনৈক ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে এসব অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ এ ডাকাত দলটি বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতিসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে উল্লেখ করে দেবহাটা থানার ওসি শেখ ওবায়দুল্যাহ বলেন, সংঘবদ্ধ এ অস্ত্রধারি ডাকাত চক্রটির আবাসস্থল মূলত খলিশাখালি জনপদ। গেল বছরের ১০ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে মুহুর্মূহু গুলি ও বোমা বর্ষণের মধ্য দিয়ে খলিশাখালি নামক ১৩শ’ বিঘা ব্যক্তি মালিকানাধীন রেকর্ডিয় জমি জবরদখলে নেয় কয়েক শ’ ভূমিদস্যু, ডাকাত এবং দুর্বৃত্তরা। এর পর থেকে ওই জনপদকে তারা অপরাধ কর্মকান্ডের আঁখড়া করে তুলেছিল।
এসব সন্ত্রাসীরা দিনের বেলায় খলিশাখালিতে আত্মগোপনে থাকতো এবং রাত নামলেই এলাকায় ডাকাতিসহ দস্যুতা করে বেড়াতো। ভূমিদস্যু, ডাকাত, সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের এ অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও জানান ওসি।