আজ সারাদিন মেঘাচ্ছন্ন যশোর। গতদিনের মতো আজও সারাদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। খুব সামান্য হলেও দিনে থেমে থেমে ঝির ঝির বৃষ্টি ঝরেছে । এর সাথে উত্তরের হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়ে মনে করিয়ে দেয় ‘মাঘের শীত বাঘের গায়' কথাটি। আজও যশোরে এমন পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েন চরম দুর্ভোগে। অনেকে আগুনে হাত-পা ছেঁকে উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছে। দুদিনের এমন আবহাওয়ায় নাজেহাল হয়ে পড়েছে যশোরবাসী।
যশোর আবহাওয়া অফিস মতে, আজ যশোরে দিনের বেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও রোদ না থাকায় শীতের তীব্রতা অনুভব করছে যশোরবাসী। এভাবে চললে আগামী দিন তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন। এদিকে, গত ৩-৪ দিন ধরে যশোর জেলাজুড়ে বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। ফলে শ্রমজীবী মানুষ জীবিকা নির্বাহে ঘরের বাহিরে বের হয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন। ঠাণ্ডা জ্বর কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা।
ফুড কোম্পানিতে কর্মরত ফরিদুল ইসলাম নামে একজন বলেন, 'সকাল ৮টার মধ্যে অফিসের উদ্দেশে বের হতে হয়। গতকাল প্রচণ্ড শীতের কারণে রিকশা না নিয়ে হেঁটে গেছি অফিসে। যাতে শরীরটা একটু গরম থাকে। কিন্তু উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জবুথবু অবস্থা। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষতো নাজেহাল হয়ে যাচ্ছে। শহরের কাজীপাড়ার রিকশাচালক আকরাম বলেন, গতদিনও রিকশা নিয়ে বের হতে পারিনি। আজও সকালে রিকশা নিয়ে বের হতে পরিনি। বাতাস বইছে। এই আবহাওয়ায় রিকশা চালানো কষ্টকর। সারাদিন আয় রোজগার বন্ধ। নির্মাণ শ্রমিক আজহার বলেন, সকালে কাজে বের হতে পারিনি। এই আবহাওয়ায় সিমেন্ট পানির কাজ করা যায় না। তার উপরে আকাশ মেঘলা। বৃষ্টি হলে তো আরও সমস্যা।
শহরের দড়াটানা-বকুলতলার মাঝামাঝি চায়ের দোকানদার ইসহাক আলী বলেন, গতদিনও বেচাকেনা করতে পারিনি গত ৩-৪ দিন ধরে ঠাণ্ডা বেশি। ক্রেতা কম। বেচাকেনা কমে গেছে। এদিকে শীতে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। গত কয়েক দিন সর্দি, জ্বরসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত অনেক শিশুকে নিয়ে অভিভাবকরা চিকিৎসকের কাছে আসছেন।