× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

প্রচন্ড গরমে পর্যটকশূন্য কিশোরগঞ্জের হাওর

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

১৭ জুলাই ২০২২, ০৩:১৪ এএম

দেশের ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে অন্যতম পছন্দের স্পট কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্ট্রগাম, ইটনা ও মিঠামইন, নিকলী উপজেলার হাওর বেষ্টিত অঞ্চলগুলো। কিছুদিন আগেও ‘অলওয়েদার সড়ক’ খ্যাত রাস্তার দুপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হাওরের পানি থাকলেও বর্তমানে তীব্র গরম ও প্রচন্ড রৌদ্রের ঝলকানিতে পানি শুকিয়ে হাওরের রূপ যেন পুরোটাই পাল্টে গেছে।

এবারের ঈদের ছুটিতে জেলার দর্শনীয় স্থানগুলো পর্যটকের আনাগোনায় মুখর হয়ে উঠবে বলে আশা করছিলেন সংশ্নিষ্টরা। তবে কাঙ্খিত সংখ্যক পর্যটক না আসায় নিকলী, ইটনা, অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনের হাওরে তিন শতাধিক ট্রলারচালক ও সহকারীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। কোলাহল নেই হোটেল, রিসোর্টেও।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এবার প্রচণ্ড গরম ও বন্যার কারণে পর্যটক আসেনি। গতকাল রোববার পর্যন্ত দেখা মেলেনি পর্যটকদের। হাওরের প্রবেশদ্বার হিসেবে খ্যাত চামড়াঘাট ও বালিখলা ঘাটে ছিল না পর্যটকের পদচারণা। প্রতিটি হোটেল ও রিসোর্ট খালি পড়ে রয়েছে। ট্রলার মালিক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিগত বছরগুলোয় ঈদের দিন থেকে পর্যটক আসা শুরু করলেও এবার তা দেখা যায়নি। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছে হাওরের পর্যটন খাত। করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকলেও গত ঈদুল ফিতরে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় ছিল। এবারও প্রস্তুত ছিলেন তাঁরা। কিন্তু সাড়া মেলেনি কোন পর্যটকদের।

ট্রলার ও নৌকার মালিক হাফিজ উদ্দিন, মো: নয়ন মিয়া, মেহেদী হাসান, ফজর আলী ও গোপাল বসুসহ আরও অনেকে জানান, পর্যটক না আসায় তারা পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। অনেক কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। অন্যদিকে জেলার হাওরবেষ্টিত অষ্ট্রগাম, ইটনা ও মিঠামইন উপজেলায় হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত অলওয়েয়ার সড়কপথ। কিছুদিন পূর্বে ‘অলওয়েদার সড়ক’ খ্যাত রাস্তার দুপাশে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হাওরের পানি থাকলেও বর্তমানে পানি শুকিয়ে হাওর এলাকা ধু-ধু ময়দানে পরিণত হয়েছে। এখন যতদূর চোখ যায় শুধুই ফাঁকা জমি। কোথাও কোথাও সবুজ ঘাস গজিয়েছে, কোথাও কাদা পানি জমে আছে। আবার কোথাও হাওরের শুকনো জমির আইল ধরে হেঁটে যাচ্ছে মানুষ। এ কারণে আগত পর্যটকের সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। অনেকে না জেনেই এসে কিছুটা হতাশা নিয়ে ফিরছেন। তবে যারা আসছেন তারা অটোরিক্সা গাড়ি ভাড়া করে অলওয়েদার সড়ক ঘুরে আনন্দে সময় কাটিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পর্যটকদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, বর্তমানে এ তিন উপজেলা হাওরের বিভিন্ন স্থানে চর জেগেছে। এ কারণে অনেকটা পথ ঘুরে আসতে হয়। এতে সময় যেমন বেশি লাগে তেমনি গরমে পর্যটকদের ভোগান্তিরও শেষ নেই।

রাজধানী থেকে আগত বাসিন্দা ব্যবসায়ী সৈয়দ দ্বীন ইসলাম হানিফ বলেন, করোনার কারণে পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি। ছেলেমেয়েরা ইউটিউবে অলওয়েদার সড়ক ও সড়ক সংলগ্ন হাওরের পানি দেখে এখানে ঘুরতে আসার আবদার করে। প্রচণ্ড গরমে কষ্ট করে এখানে এসে দেখি হাওরে পানি নেই!

তিনি বলেন, হাওরে পানি না থাকলেও উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে খুব ভালো লেগেছে। হাওরে পানি থাকলে যে আরও সুন্দর লাগতো, তা সহজেই বোঝা যায়।

কিশোরগঞ্জ ৪,(ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক জানান, এক সময় হাওরাঞ্চল বছরের ছয়মাস পানির নিচে ডুবে থাকলেও হাওরের বুকচিরে দৃষ্টিনন্দন সড়ক নির্মাণের ফলে বর্তমানে এ তিন উপজেলায় সারাবছর নিবিঘ্নে চলাচল সম্ভব হচ্ছে। হাওরকে আরো দৃষ্টিনন্দন করতে উড়াল সড়ক নির্মাণের কথা ভাবা হচ্ছে। শিগগিরই এর কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যায়। 

জানা গেছে, হাওরাঞ্চলে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে দিল্লির আখড়া, আনন্দ মোহন বসুর বসতভিটা, শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের বসতবাড়ি, অষ্টগ্রামের কুতুবশাহি মসজিদ, ইটনার শাহি মসজিদ, অল ওয়েদার সড়ক, হিজল বাগানসহ নানা ঐতিহাসিক স্থাপনা।






Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.